নিজস্ব প্রতিবেদন :-৩৪ বছরের বাম আমল কে পরাজিত করে সরকার এ এসেছে তৃণমূল । প্রশ্ন আসে মাঝে মাঝেই কি করেছে ৩৪ বছরে । কখনো কখনো বা খিল্লি উড়িয়ে বলা হয় সিপিএমের পার্টি অফিস ফাঁকা ,খেলার মাঠের সমান কোন লোকজন থাকে না । এর থেকে এসেছে পাল্টা জবাব ও । কাটমানি থেকে শুরু করে ত্রিপল চোর, চাল চোরের ,মতন অভিযোগ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
সত্যতা বিচার নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতামত আছে । তবুও লেগেছে তো ? ।কাজেই দুই পক্ষে থেকে চলেছে ঘাতপ্রতিঘাতের যুদ্ধ । কিন্তু এবার লড়াইটা যেন অন্য কারো সাথে। এবার লড়াই অন্য সরকারের সাথে । এ লড়াই হাতে হাত মিলিয়ে যেন ঘুরে দাঁড়াবার লড়াই ।
সাধারণ মানুষ থেকে মধ্যবিত্ত মানুষ বা নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ থেকে একদম নিচুতলার মানুষের পাশে সব সময় দাঁড়িয়েছেন সিপিএম এমনটাই মতামত রাজনৈতিক মহলের একাংশের । বহুদিন আগে কৃষকদের সুবিধার্থে একটি বিল পাস করা হয় যেখানে বলা হয় কোন ব্যক্তি বা কোন বেসরকারি সংস্থা কোন কৃষকের থেকে ফসল বা আনাজ কিনতে গেলে একটি নির্দিষ্ট ট্যাক্স সরকারকে দিতে হবে যাতে কেউ কৃষকদের উপর লাগাম ছাড়া শাসন করতে না পারে।
এবং তার সাথে সাথে ন্যূনতম একটি দামের কথা বলা আছে ওই বিলে । কিন্তু সম্প্রতি সরকারের বলাবাহুল্য কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সিদ্ধান্তে পরিষ্কার হয় যে এই বিল আর থাকছে না ।অর্থাৎ কৃষকদের জীবন সুবিধার্থে ,ফসল সুবিধার্থে ন্যায্যদাম পাবার সুবিধার্থে যে বিল তৈরি করা হয়েছিল বহুদিন আগে সেই বিল আর থাকছে না । হবে না সেই বিল এর কার্যকারিতা ।
খবর শোনা মাত্রই রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ কৃষকদের। দেশে যেখানে দিনে দিনে বেড়ে চলেছে কৃষক আত্মহত্যা সেই সময়ে দাঁড়িয়ে এই সিদ্ধান্ত ঠিক কতটা গ্রহণযোগ্য তা এখনও সংশয় এ । কিন্তু ওই যে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতামত যে কৃষকদের পাশে আগেও ছিল সিপিএম আর এখনো থাকবে সিপিএম তাই এই বিল প্রত্যাহারের দাবিতে আজ বাঁকুড়া বড়জোড়াতে এক মহামিছিলের আয়োজন করে সিপিএম । উপস্থিত ছিলেন সুজন চক্রবর্তী ।
ঐদিন ওই মহামিছিলে উপস্থিত ছিলেন সুজন চক্রবর্তী ।তিনি একটি আলোচনা সভায় জানান যে “ওই বিল কৃষি ক্ষেত্রকে ধ্বংস করার বিল, ফোঁড়ে, দালালি এদের পাকাপাকিভাবে বন্দোবস্ত করার বিল ,কৃষি ব্যবস্থাকে আদানি আম্বানি হাতে তুলে দেওয়ার বিল , কৃষকের জীবন অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার বিল, এ বিল আমরা মানছি না ।এই বিল প্রত্যাহারের দাবি করতে হবে ,তা নিয়ে কোন দ্বিমত বা সন্দেহ নেই ।