নিজস্ব প্রতিবেদন :-“ফের প্রকাশ্যে কটাক্ষ ” ।উত্তরপ্রদেশের তরুণী গণধ-র্ষণে-র মৃ-ত্যু-কে কেন্দ্র করে রীতিমতো মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তাল গোটা দেশ । উত্তাল রাজনৈতিক মহল গুলিও । আমরা এর আগে দেখেছি যে প্রতিবাদের পথে নেমেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি ঠিক তেমনই নির্যাতি-তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা । কিন্তু গ্রামে ঢোকার কিছুটা আগে পুলিশ দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয় প্রত্যেকে।





এমনকি বাধাপ্রাপ্ত হয় সাংবাদিকরাও । তার ঘটনা আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি । রীতিমতো প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে, উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে । ঐদিন কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে রাস্তার মধ্যে পুলিশ বাহিনী দিয়ে তাদেরকে আটকায় যোগী আদিত্যনাথের সরকার ।যদিও পরবর্তীকালে অনুমতি মেলে দেখা করার ।
সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী সরব হলেন প্রধানমন্ত্রীর বি-রু-দ্ধে ।একেরপর এক জবাব দিলেন তিনি । গোটা দেশ যখন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল প্রতিবাদের সুর যখন সবার এক, তখন প্রধানমন্ত্রী কেন নীরবে রয়েছেন? প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুললেন অধীর চৌধুরী । যদিও হাতরাস এর এই ঘটনাকে দ্রুত ত-দ-ন্তে-র নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে ফোনের মাধ্যমে ।





কিন্তু প্রকাশ্যে তিনি কোনো মন্তব্য এখনো পর্যন্ত করেননি । যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক, জল্পনা । এই এক প্রশ্ন অধীর চৌধুরীর সাথে রাজনৈতিক মহলের একাংশের যে প্রধানমন্ত্রী কেন এখনো পর্যন্ত চুপ । যে প্রধানমন্ত্রী ছোটখাটো সমস্ত বিষয় সরব হন তিনি দেশে এত বড় কাণ্ডে থেকে গেলে নিরব ? ।
এর পাশাপাশি অধীর চৌধুরী বলেন ” মোদিজি স্থানীয় থেকে বিশ্ব, প্রতিটি বিষয়ে মুখ খোলেন, কিন্তু হাথরাসের হৃদয়বিদারক ঘটনা সম্পর্কে এখনও চুপ করে আছেন। কী হল আপনার মোদিজি? কোথায় গেল আপনার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ,সব কা বিশ্বাস’? হাথরাসের পর আপনার দ্বিচারিতা উন্মোচিত হয়ে পড়ল! আপনি বরং নতুন স্লোগান দিন, শাট আপ ইন্ডিয়া, হাস আপ ইন্ডিয়া অর্থাৎ চুপ করে থাক ভারত, আড়াল করে রাখ, চেপে যাও ভারত ।





বেশ কয়েকদিন আগে উত্তর প্রদেশ হাথ্রাস এক দলিত মেয়ের সাথে ঘটে এই নরকীয় হ-ত্যা-কা-ণ্ড । গণধর্ষণের পর হ-ত্যা করার চেষ্টা করা হয় কিন্তু ১৪ দিন হাসপাতালে লড়াই জারি রাখার পর মৃত্যু ঘটে ওই তরুণী ওই তরুণী । এবং পরবর্তীকালে প্রশাসন ওই নির্যাতিতার মৃ-তদেহ পরিবারে অনুমতি ছাড়াই রাতের অন্ধকারে পুড়িয়ে দেয়। এই ঘটনাকে ঘিরে মাত্রা দিন দিন যেন বেড়েই চলেছে চা-ঞ্চ-ল্য আর সেই চা-ঞ্চ-ল্যে-র আগুনে বারবার যেন ঘি ঢালছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রীর বক্তব্য গুলি ।




