বাড়িতে একবার ট্রাই করে দেখুন এই গোপনীয় ট্রিকস, নিমেষেই রেহাই পাবেন সর্দি-কাশি থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদন: শীতের আমেজ কেটে গিয়ে বেশ কিছু সময় ধরেই বসন্তের আগমন এবং তথাকথিতভাবে গ্রীষ্মকাল শুরুর সময় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ঋতু পরিবর্তনের কারণে এই সময় কিন্তু আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই জ্বর এবং সর্দি কাশি জনিত সমস্যার লক্ষ্য করা যায়। এই সমস্যার কারণে বাচ্চা থেকে বড় সকলেই নাজেহাল হয়ে পড়েন। আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনের তাই পাঠক বন্ধুদের উদ্দেশ্যে কয়েকটি স্টেপ অনুসরণ করে ছোট্ট একটা রেমিডি শেয়ার করে নেব। যদি আপনাদের এগুলো ভালো লাগে তাই অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। একবার এই গোপন ট্রিক্স ট্রাই করে দেখুন নিমেষেই সর্দি কাশি থেকে শুরু করে জ্বরের সমস্যাও চটজলদি গায়েব হয়ে যাবে।

সর্দি কাশি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বিশেষ রেমিডি:

১) প্রথমেই আপনাদের নিয়ে নিতে হবে কিছুটা পরিমাণ লবঙ্গ আর গোল মরিচ। তারপর আপনাদের অন্যান্য উপকরণ গুলি অর্থাৎ আদা, সৈন্ধ্রি লবণ, সামান্য হলুদ গুঁড়ো ও মধু নিয়ে নিতে হবে। এবার একটি প্যানের মধ্যে আপনাদের ২০ টা গোলমরিচ,১০টি লবঙ্গ (বিকল্প হিসেবে দারচিনি) নিয়ে নিতে হবে। শুকনো খোলায় এটাকে হালকা নাড়াচাড়া করুন। তারপর এগুলোকে নামিয়ে ওই গরম পানির মধ্যেই আপনাদের নিয়ে নিতে হবে আদার টুকরো। অন্যদিকে লবঙ্গ আর গোলমরিচ আপনাদের ভালো করে গুঁড়ো করে নিতে হবে।

২) অন্যদিকে আদা সামান্য গরম করে গ্রেটারের সাহায্যে গ্রেট করে নিন। তারপর একটা পাতলা রুমালের সাহায্যে আপনাদের আদার জুস বের করে নিতে হবে। যদি আপনি বড় কোন ব্যক্তির জন্য এই রেমেডি বানাচ্ছেন তাহলে মোটামুটি তিন থেকে চার চিমটে, যদি ছোট বাচ্চার জন্য বানিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে এক চিমটে গোলমরিচ আর লবঙ্গের গুঁড়ো নিয়ে নিতে হবে। অন্যদিকে মধুর মধ্যে আদার এই জুসটাকে মিশিয়ে নিন। পাশাপাশি দিয়ে দিন এক চিমটি লবণ আর এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো। এবার চার চিমটে গোলমরিচ ও লবঙ্গের গুঁড়ো নিয়ে এর সঙ্গে একসাথে মিশিয়ে ফেলুন।

৩) সকালে ঘুম থেকে উঠে চা খাওয়ার আগে বা পরে এটা কে আপনারা খেতে পারেন। রাতে শোয়ার সময় খেলেও কিন্তু দারুণ উপকার পাবেন। তবে বাচ্চাদের দেওয়ার সময় অবশ্যই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করেবেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।যদি বাড়িতে এই রেমিডি প্রস্তুত করে থাকেন সেক্ষেত্রে কতটা কাজে আসলো তা শেয়ার করে নেওয়ার অনুরোধ রইল। আপনাদের মতামত আমাদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

Leave a Comment