নিজস্ব প্রতিবেদন :-কথাতে আছে ” নারীশক্তি” । নারী শক্তির কথা বললেই প্রথমে মাথায় আসে যে ঈশ্বরের নাম সেটি হল মা কালী ।সময়ের সাথে সাথে পাল্টাতে থাকে তার রূপ । তাকে কখনো মমতাময়ী মা ,কখনো আবার উগ্র রুপ ধারন কারী রূপে দেখা যায়। শত্রুকে বিনাশ করার ক্ষেত্রে হোক বা সন্তান কে আগলে রাখার ক্ষেত্রে মা কালীর অশেষ কৃপায় কোন তুলনা হয়না। কে চায় না মা কালির আশীর্বাদ থাকুক তার জীবনে । কিন্তু পাওয়াটা খুব তপস্যার ব্যাপার । থাকতে হবে একাগ্রতা, সহনশীলতা এবং মন থেকে ভক্তি ।তবে মিলবে তার কৃপা ।
আমরা জানি সীতার ৫১ পীঠের কথা । সেই ৫১ পীঠের মধ্যে অন্যতম পীঠ হলো কালীঘাটের কালী মন্দির। রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র কলকাতা শহরে অবস্থিত এই কালীঘাটের কালী মন্দিরের প্রাচীনকাল থেকে ঐতিহ্য এখনো পর্যন্ত অটুট ভাবে বিরাজমান। প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার ভক্তের সমাগম সেখানে ।কাউকে ফিরিয়ে দেন না মা ।
সব সময়েই নতুন করে জীবন শুরু করা হয় মায়ের আশীর্বাদে৷ মা কালী সব সময়েই এক নতুন করে জীবন শুরু প্রেরণা দিয়ে থাকেন৷ কালীঘাটের মা খুবই সাহায্য করে থাকেন জীবনের তিনটি ক্ষেত্রে৷ এর অর্থ এই নয় যে মা কখনই বিপদে ছেড়ে দেন৷ মা জীবনে অত্যন্ত পরিমাণে সহনশীল হতে শেখান। তার স্পষ্ট প্রমাণ পাই পুরাণ থেকে যখন যক্ষ রাজার দরবারে স্বামীর নামে কটু কথা শুনেও সহ্য করেছিলেন মা সতী৷ তাই জীবনের সহনশীলতা বাড়াতে হয় প্রত্যেকেরই৷
জীবনে সফল হতে গেলে যে বিষয়টি সব থেকে বেশি দরকার সেটি হল সততা। সততা না থাকলে কখনোই একটা মানুষের জীবন সফল হতে পারেনা ।সাময়িকভাবে হলেও সেটা চিরস্থায়ী হতে পারেনা। মা কালি কে আমরা সাধারণত শক্তিরূপেণ দেবী বলে জানি। অর্থাৎ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি আমাদের অনুপ্রাণিত করেন কীভাবে জীবনের দুর্বল সময়কে ঝেড়ে ফেলে শক্তির সাহায্যে এগিয়ে যাওয়ার পথ কে দৃঢ়ভাবে নির্মাণ করতে হয়।যদি আপনি কখনও কালীঘাটের কালী মন্দির না গিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সময় করে একদিন ঘুরে আসুন এই মন্দির থেকে । দেখবেন মিলিয়ে এক অদ্ভুত শান্তি ।