নিজস্ব প্রতিবেদন:-আমাদের এই রাজ্যে আমরা অনেক সময় বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন মৃ-ত্যু-র ঘটনা শুনে থাকি। কখনো পথ দু-র্ঘট-নায় তো কখনো বজ্রবিদ্যুৎ এর ফলে মৃ-ত্যু ঘটে অনেকে । আবার কখনও কখনও আমরা শুনে থাকি বাঘের হামলায় মৃ-ত্যু হয়েছে গ্রামবাসীর । এর পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রাম যেগুলির আশেপাশে বন-জঙ্গল দিয়ে ঘেরা সেই সব গ্রামবাসী মৃ-ত্যু ঘটে বন জঙ্গলের কোন জন্তু জানোয়ারের ক-ব-লে পড়ে । সেরকমই ফের আরও একবার ঘটনা ঘটলো বাঁকুড়া জেলার কোচডিহি গ্রামের এক যুবকের সাথে।





মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরে বাঁকুড়া পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রামে হাতির মৃ-ত্যু নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এর পাশাপাশি তিনি জানান যদি কোন গ্রামবাসী মৃ-ত্যু হাতির কবলে পড়ে হয় তাহলে ওই পরিবারকে দেয়া হবে আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষ-তি-পূরণ। তার সাথে সাথে পরিবারের একজন পাবেন বনদপ্তর এর হোম গার্ডের চাকরি । তবে কোথাও যেন ঘটনাটি সত্যি সত্যি হয়ে গেল তার পরের দিনই ।
মুখ্যমন্ত্রী ওই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে হাতির কবলে পড়ে মৃ-ত্যু ঘটে এক যুবকের । যুবকের নাম মিলন কারক । স্থানীয় সূত্রের খবর অনুসারে গতকাল দুপুরে বড়জোড়া এলাকায় থাকা প্রায় চল্লিশটি হাতির দলকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সোনামুখী ব্লক এলাকায়। রাতে স্থানীয় কোচডিহির জঙ্গলে ছিল হাতির পালটি।





সন্ধ্যা নামতেই খাবারের খোঁজে জঙ্গল ছেড়ে হাতির পালটি নেমে আসে পার্শ্ববর্তী ধানের জমিতে। নিজের জমির ফসল বাঁচাতে অন্যান্য গ্রামবাসীর পাশাপাশি মিলন কারকও নিজের জমি পাহারা দিতে গিয়েছিলেন। জমি পাহারা দেওয়ার সময় আচমকাই হাতি আ-ক্র-ম-ণ করে মিলন কারককে।
সূত্র অনুসারে জানা যায় ওই হাতই যুবকটিকে তুলে আঁ-চ-ড়ে দেন এবং থিতিয়ে দিয়ে দে-হ । ঘটনাস্থলেই মৃ-ত্যু হয় ওই যুবকের । পরে পুলিশ এবং গ্রামবাসীর সহায়তায় ওই যুবকের মৃ-তদে-হ উদ্ধার করে পাঠানো হয় সোনামুখী থানায়। কিন্তু এই ঘটনার পরও বনদপ্তর আধিকারিকরা সেখানে পৌঁছান নি এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো ক্ষু-ব্ধ গ্রামবাসীরা ।





প্রায়ই তাদের মধ্যে এরকম হাতির উপদ্রব দেখা যায় বলে জানা গিয়েছে । তবে বনদপ্তরের গাফিলতির জন্য মাঝেসাজে মৃ-ত্যু ঘটে গ্রামবাসীর । এবার মিলন কারকের এই মৃ-ত্যু-র জন্য বনদপ্তর এর পরিকল্পনাহীনতা কে দায়ী করেছে গ্রামবাসী । তার পাশাপাশি ওই মৃ-তদে-হ ময়-নাত-দ-ন্তে-র জন্য পাঠানো হয়েছে ।




