আল কায়দার মতো কুখ্যাত জ-ঙ্গী গোষ্ঠীর নাম আমাদের কম বেশী সকলেরই জানা কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যখন এই জঙ্গিগোষ্ঠী রাজ্যেরই কোন এক জেলাতে ঘাঁটি স্থাপন করলে তার ভ-য়া-ব-হতা ঠিক কোন জায়গায় পৌঁছাবে তা হয়তো আমরা অনেকে আন্দাজ করতে পারছি ।
রীতিমতো ভয়ে দিন কাটাচ্ছে রাজ্যবাসী । বড় সড়ো প্রশ্নের মুখে শাসক দল । কিন্তু এ রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগ যে কোন অংশে পিছিয়ে নেই তা আরো একবার প্রমান করলো শনিবার । শনিবার জাতীয় ত-দ-ন্ত-কারী সংস্থা মুর্শিদাবাদ এবং কেরলের এর্নাকুলাম তল্লা-শি চালিয়ে আল-কায়েদার জঙ্গিগোষ্ঠীর প-র্দা ফাঁ-স করে ।
শনিবার গোয়েন্দা বিভাগের ত-ল্লা-শির ফলে জা-লে ধরা পড়ে আল-কায়েদার 9 জঙ্গি । তাদের নাম যথাক্রমে আবু সুফিয়ান, ইয়াকুব বিশ্বাস, আতিউর রহমান ,মইনুল মন্ডল, নাজমুস সাকিব, আল মামুন কামাল, মুর্শিদ হাসান ,মোশাররফ হোসেন, ও লিউইয়ন আহমেদ । NIA সূত্রে জানা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ওই পাক জঙ্গিগোষ্ঠী এদের সক্রিয় এবং কট্টরপন্থী জঙ্গী বানাবার চেষ্টা করেছে ।
এবং তার সাথে সাথে ভারতের রাজধানী দিল্লি সহ অন্যান্য দেশের বিভিন্ন অংশে হামলা চালাবার জন্য উৎসাহিত করেছে । এদের কাছ থেকে বেশকিছু এন্ড্রয়েড ফোন, ফায়ার ক্র্যাকার, বোমা বানানো সকেট, বোমা তৈরি ধাতব পাত, বেশকিছু ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার পাওয়া গেছে ।
যখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি একের পর এক প্রশ্ন করেছেন শা-স-কদলের বি-রু-দ্ধে ঠিক তখনই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী রীতিমতো কটাক্ষের সুরে বলেন “পুলিশ যদি তৃণমূল নেতাদের বাঁচাতে ব্যস্ত থাকে তাহলে জঙ্গী খোঁজার সময় কোথায় তাদের”।
শুধু মাত্র এখানেই তিনি থেমে থাকেননি তিনি আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে শাসকদলের বি-রু-দ্ধে সুর চড়িয়ে বলেছেন যে” যদি রাজ্যে আল-কায়েদার মতন কুখ্যাত জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘাঁটি গেড়ে বসে তাহলে বুঝে নিতে হবে রাজ্যের পরিস্থিতি ভ-য়া-ব-হ” । রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগ কেউ তিনি এ বিষয়ে তো দেগেছেন ।
বলাবাহুল্য এই অধীর রঞ্জন চৌধুরী বহরমপুর এর সাংসদ ,কাজেই মুর্শিদাবাদের এইরূপ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার এই বক্তব্য অতি স্বাভাবিক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ । এ বিষয়ে বিজেপির বক্তব্য যে এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটে যেগুলো রাজ্য সরকার তথা শাসকদল ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে ।তাদের কাছে এই সমস্ত ঘটনা নিছকই ছোট বলে মনে হয়ে থাকে ।