




নিজস্ব প্রতিবেদন :-গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার আমরা দেখেছিলাম বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায় ৫০ হাজার বিজেপি কর্মী কলকাতার রাজপথে নেমে ছিল। এবং তাদের লক্ষ্য ছিল নবান্ন অভিযান। কিন্তু তারা শেষ অব্দি নবান্ন পৌঁছাতে পারেনি।। তার আগেই তাদের মোকাবিলা করতে হয়েছে রাজ্য পুলিশের প্রশাসনের সাথে । ব্যারিকেড কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান নিয়ে এক ধুন্ধুমার পরিবেশ সৃষ্টি হয় ছিলো কলকাতার রাজপথে বৃহস্পতিবার।





এ ঘটনার পর থেকেই শুরু হয় জোর বিতর্ক । চলে পাল্টা জবাব। তবে যে বিতর্ক এই মুহূর্তে এই খবরকে আরো তুলে ধরে সেটি হলো পাগড়ি বিতর্ক । ওই অভিযানে বলবন্দর সিং নামে এক ব্যক্তিকে কাছ থেকে পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ ।এবং তার সাথে পুলিশের ধ-স্তাধ-স্তি হয় । ধ-স্তা-ধ-স্তি তে খুলে যায় পাগড়ি । ব্যাস! সেই ভিডিওটি সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয় এবং যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। । আঙুল উঠেছে শাসকদলের এবং প্রশাসনের বি-রু-দ্ধে।
এই প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে ক্রিকেটাররাও।ব সম্প্রতি হারবাজান সিং একটি টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাছে আর্জি জানিয়েছেন যে এই ঘটনা মোটেও ঠিক নয় ।এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি । এর পাশাপাশি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং ওই পুলিশ কর্মী বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা এবং ভবিষ্যতে যেন কোন সম্প্রদায়কে এরকম ভাবে আঘাত না আনা হয় সে ব্যাপারে নজর রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।





এই সমস্ত কিছুর মাঝেই অবশেষে সব কিছুর উত্তর দিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে টুইট করা হয় যেখানে জানানো হয়েছে ‘বাংলায় শিখ ভাইবোনেরা শান্তিতে আছেন। আমরা তাঁদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করি। সম্প্রতি বেআইনি বি-ক্ষো-ভে একটি ঘটনা ঘটে। বেআইনি অ-স্ত্র সহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়। সেই ঘটনাকে বিকৃত করে দেখানো হচ্ছে। নির্দিষ্ট স্বার্থে বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক রং দেওয়া হচ্ছে। সংকীর্ণ স্বার্থে সাম্প্রদায়িক রং দিচ্ছে একটি রাজনৈতিক দল। বাংলা এটা বিশ্বাস করে না। পুলিশ আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করেছে। শিখ সম্প্রদায়ের প্রতি রাজ্য সরকার পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল।’
এর পাশাপাশি রাজ্য সরকার কে কটাক্ষ করতে পিছুপা হয়নি বিজেপি । জানা গিয়েছে ওই বালবন্দর সিং অর্জুন সিং এর সঙ্গিনীর দেহরক্ষী। তবে তার কাছ থেকে প্রাপ্ত পিস্তলটি লাইসেন্স যুক্ত অর্থাৎ বৈধ কিন্তু পুলিশ সূত্রে জানা গেছে পিস্তলটি বৈধ হলেও তা পশ্চিমবঙ্গে আনার অনুমতি ছিল না । বেআইনিভাবে আনা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে । এবং পুলিশের সাথে ধ্বস্তাধ্বস্তি তার পাগড়ী নিজে থেকেই খুলে যায়। কোন পুলিশ জোর করে তার পাগড়ি খোলার চেষ্টা করেনি । কোন সম্প্রদায়কে আঘাত হানার উদ্দেশ্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নেই ।





Our Sikh brothers and sisters live here in West Bengal in perfect peace and harmony, in happiness and tranquility, with respect from all of us for their faith and practices. A recent incident when one isolated individual got caught with..(1/3)
— HOME DEPARTMENT – GOVT. OF WEST BENGAL (@HomeBengal) October 11, 2020