করোনা ম-হা-মা-রী-র এই ভয়া-বহ আ-ব-হে-র মধ্যে কিভাবে ভোট গ্রহণ সম্ভব তা নিয়ে বিস্তর জ-ল্প-না হচ্ছিল। অক্টোবর অথবা নভেম্বরে বিহার বিধানসভার প্রথম ভোট গ্রহণ হতে চলেছে। এই আ-বহে-র মধ্যে ভোটদাতা এবং ভোট কর্মীদের জন্য নির্দে-শিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। বিহার বিধানসভা ছাড়াও সমস্ত বিধানসভা নির্বাচন এবং উপ নির্বাচনের জন্য এই গাইডলাইন মেনে চলতে হবে।
এই নির্বাচন পর্বে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকা যথার্থরূপে পালন করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিহারে এবার ভিড় এড়ানোর জন্য যথেষ্ট বাড়ানো হয়েছে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই নেওয়া হবে ভোট। প্রতিটি ভোটার এবং ভোটকর্মীদের মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে। প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ভোটদাতার সংখ্যা ১০০০ এর মধ্যেই রাখা হবে।
২৪৩ টি আসন রয়েছে বিহার বিধানসভায়। ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত এর কার্যকাল রয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনকে তার আগেই নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। তাই এবারে করোনার প্র-কো-পের কথা মাথায় রেখে এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে বিহারের বিধানসভা ভোটে এবারে করোনা আ-ক্রা-ন্ত মানুষ অথবা যাদের বয়স ৬৫ এর উর্ধ্বে, তারা নিজেদের বাড়ি থেকে বসেই ভোট দিতে পারবেন।
তাঁদের বাড়িতেই পৌঁছে দেওয়া হবে ভোটের ব্যালট বাক্স। এর ফলে করোনার সং-ক্র-ম-ণ থেকে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন।ইভি-এম মেশিনে ভোট দিতে যাওয়ার আগে ভোট কর্মী এবং ভোট দাতাদের গ্লাভস দেওয়া হবে, মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হবে। ভোটারদের চিহ্নিত করার উদ্দেশ্যে ভোটারের মুখে মাস্ক নামিয়ে একবার নিজের মুখ দেখাতে হবে।
ভোট গ্রহণের আগের দিন বুথ স্যানিটাইজ করা হবে, ভোটারদের টোকেন দেওয়ার জন্য হেল্প ডেস্ক রাখা হবে, কোন ভোট কর্মীদের তাপমাত্রা যদি বেশি থাকে তাহলে তাদের পরিবর্তে অন্য একজনকে কাজে নেওয়া হবে। প্রতিটি ভোট কর্মী এবং নিরাপত্তা রক্ষা কর্মীকে স্যানিটাইজার ফেস মাস্ক গ্লাভস এবং ফেস শিল্ড দেওয়া হবে, প্রয়োজন অনুযায়ী পোলিং অফিসার কে পিপিই কিটও দেওয়া হবে। মনোনয়নপত্র অনলাইনে জমা দিতে হবে।
কোনরকম রোড শো অথবা জনসভা করা হবে না। বাড়িতে গিয়ে প্রচার করলে ৫ জনের বেশি প্রচারে যেতে পারবেন না।ভোট গণনার সময়ে ৭ টির বেশি টেবিল রাখা যাবে না, গণনার পূর্বে ভিভিপ্যাট এবং ইভিএম মেশিন কে স্যানিটাইজ করে নিতে হবে।প্রতিটি ভোটদাতা কে পরীক্ষা করার জন্য থার্মাল স্ক্যানিং এর মধ্য দিয়ে যেতে হবে।