মহাকাশ শব্দটি শুনতে খুব ছোট হলেও এই মহাজাগতিক বিশ্বে যেমন গাছপালা পশুপাখি মানুষ সবাই বসবাস করে সবাই কিন্তু সেই কোনো না কোনোভাবে মহাকাশ জগতের অন্তর্গত। মহা এবং আকাশ এই দুটি শব্দের সংমিশ্রণে মহাকাশ শব্দটি গঠিত।প্রাচীন যুগ থেকে যখন ক্রমশ বিজ্ঞান তার নিজস্ব সত্ত্বা অর্থাৎ নিজেকে সমস্ত মানুষের কাছে পাখনা মেলে ধরেছে ততদিন থেকেই পৃথিবী বাদে অন্য যেসব গ্রহ উপগ্রহ রয়েছে সেগুলো নিয়ে গবেষণা চর্চা বহু যুগ আগে থেকেই কোন না কোন ভাবে কোন না কোন বিজ্ঞানী তার পর্যালোচনা করা শুরু করেছেন।
বহু প্রাচীন যুগে ইতিহাসের পাতা উল্টালে পাতা উল্টালে দেখা যায় বিভিন্ন অ্যাস্ট্রোনমি কিংবা যারা মহাকাশ বিজ্ঞানী এ গবেষণা শুরু করেছেন ,তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন গ্যালিলিও। তিনি ছিলেন ইতালিয়ান মহাকাশ বিজ্ঞানী। তিনি প্রথম দূরের জিনিস কাছে দেখার জন্য দূরবীন নামক একটি যন্ত্রের আবিষ্কার করেন ।অর্থাৎ সুপ্রাচীন যুগে এই অত্যাধুনিক যন্ত্রের আবিষ্কার সারা বিজ্ঞানীমহলে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল।
তৎকালীন রাজা যিনি ছিলেন তখন তিনি যারা এই গ্যালিলিওর আবিষ্কার কে মেনে নিতে পারেননি তারা গ্যালিলিওকে বিভিন্নভাবে দুঃখ কষ্টের মধ্য দিয়ে তাকে কারাগারে বন্দি করেছেন শেষ জীবনে তার দুর্দশার ছবি আমরা ইতিহাসের পাতায় লক্ষ্য করি।
বর্তমানে আমরা বিংশ শতাব্দীর শেষে একবিংশ শতাব্দীর প্রাক্কালে উপনীত হয়েছি বর্তমান যুগে বিজ্ঞান প্রাচীন যুগ থেকে অনেক অনেক উন্নতি সাধন করেছে। আমরা এখন অতি সহজেই ইন্টারনেটের ব্যবহার শিখেছি তার সঙ্গে রেডিও-টিভি প্রভৃতির আমাদের প্রতিনিয়ত দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। সুতরাং বলা যায় সকালে ঘুম থেকে ওঠা শুরু করে রাতে ঘুমানো পর্যন্ত আমরা যা কিছুই ব্যবহার করি সবকিছুই কিন্তু বিজ্ঞানের দান। অর্থাৎ বিজ্ঞান ছাড়া আমরা অচল।
এলিয়ান এই শব্দটি কিন্তু অতি বহুল প্রচলিত বাচ্চা থেকে বুড়ো সবার মুখে এমনকি বিজ্ঞানীমহলে ও এই শব্দটি একটি অতি জনপ্রিয় শব্দ। এই এলিয়ান কে নিয়ে বহু সিনেমা তৈরি হয়েছে। সরকারি স্তরে বিভিন্ন ভিনগ্রহীদের নিয়ে ক্রমশ গবেষণা চলছে। তার মধ্যে সাড়া ফেলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থাৎ আমেরিকা। এই এলিয়েন নিয়ে সবার মধ্যেই গুজব থাকলেও সবাইকে এক হাতে নিয়ে ভিনগ্রহীরা সম্প্রতি ধরা পড়েছে এক মহাকাশচারী ইভান ভগণের ক্যামেরা তে।
এই মহাকাশচারী মহাকাশচারী উড়ে আসা কিছু বস্তুর ছবি ক্যামেরায় তুলেছেন।তারপর তিনি অদ্ভুত ভাবে লক্ষ্য করেছেন এই বস্তুগুলো অর্থাৎ যে বস্তুগুলো মহাকাশ থেকে উড়ে এসে ছিল সেগুলো ক্রমশ মহাকাশে ফিরে যাওয়ার পরে একটা দ্যুতি ছড়িয়ে গেছে। রুশ মহাকাশচারী ইভান এর ক্যামেরায় ধরা করলো এই বিশেষ অতিথিরা।
প্রাথমিকভাবে ধরে না হয় এদের একটি জান অর্থাৎ এই ফোনের ক্যামেরায় ছবি ধরা পড়েছে সেইখান থেকে যদি একটি ফুটেজ পাওয়া যায় তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।এই বিশেষ অতিথিদের দেখা মিলেছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কাছে অর্থাৎ যাকে কিনা নিশ্চিত ভাবে ভিনগ্রহীদের জান বলে মনে করা হচ্ছে। এই দৃশ্য কে তিনি নিজের ক্যামেরায় বন্দি করতে পেরে খুব খুশি।
তবে তবে এই ভিডিওটি দেখে নিশ্চিত ভাবে কিছুটা বলা না গেলেও বিজ্ঞানীরা কিছুটা আন্দাজ করেছেন কিন্তু তা সত্ত্বেও বিজ্ঞানীমহলে এই ভিডিওটি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক ক্রমবর্ধমান। এই ফুটেজটি বিভিন্ন বিজ্ঞানীমহলে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। ফুটেজটি বর্তমানে রাশিয়ার অ্যাক্যাডেমি অফ সাইন্সেস বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন।জানা যায় একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার সংস্থা টুইটারে 19 আগস্ট এবং ভিডিওটি নিজে টুইট করেন।
তারপর থেকেই এই অতিথিদের আগমন হওয়া এই ভিডিওটি ক্রমশ ভাইরাল হতে দেখা গেছে। মহাকাশ অতিথিদের যে ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা মহলে গবেষণা চলছে। মনে করা হচ্ছে যদি এর সত্যতা যাচাই হয় কিমা প্রমাণিত হয় তাহলে আমাদের সাইন্স অর্থাৎ বিজ্ঞান যে প্রতিনিয়ত মানুষের জীবনে কাজে লাগছে তা যথার্থতা বিচার হবে এবং আমরা কিছুটা হলেও নিশ্চিত হতে পারব যে আমাদের ছাড়াও আরেক ধরনের অতিথি যারা মহাকাশে ক্রম বিরাজমান।
Space guests, or how I filmed the new time-lapse.
The peak of aurora borealis when passing over the Antarctic in Australia’s longitude, meaning in between them. However, in the video, you will see something else, not only the aurora. pic.twitter.com/Hdiej7IbLU
— Ivan Vagner (@ivan_mks63) August 19, 2020