গত 5 ই আগস্ট সম্পন্ন হয়েছে রাম মন্দিরের ভূমি পুজো। শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই রাম মন্দিরের নির্মাণে তোড়জোড় শুরু করেছিল মন্দির ট্রাস্ট কমিটিগুলি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 5 ই আগস্ট রাম মন্দিরের ভূমি পূজা সম্পন্ন করেন। এই মন্দিরের ভূমি পূজা নিয়ে যথেষ্ট রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছিল। এখনো বি-ত-র্ক থামেনি এই মন্দিরের ভূমি পূজাকে ঘিরে। এই ভূমিপুজা কে কেন্দ্র করে সারা অযোধ্যা সেজে উঠেছিলো।
এই রামমন্দিরের মূল নকশার কাজ এবং ভিত্তিপ্রস্তরের কাজ অনেক আগে থেকেই সম্পূর্ণ করা রয়েছে। মন্দিরের নকশা তৈরির কাজ সেই ১৯৯০ সাল থেকেই এগিয়ে রাখা হয়েছে। এই মন্দির তৈরির উদ্দেশ্যে ১ লক্ষ কিউবিক মিটার গোলাপি পাথর নিয়ে আসা হয়েছে। এরপরে আরো ২ লক্ষ কিউবিক মিটার গোলাপি পাথর নিয়ে আসা হবে। এই রামমন্দির নির্মাণের মূল দ্বায়িত্ব পড়েছে অনুভাই সোমপুরার উপরে। অনুভাইয়ের পারিবারিক সংস্থাই রামমন্দিরের ডিজাইন তৈরি করেছে।
রাজস্থান থেকে নিয়ে আসা গোলাপি পাথর কেটে বানানো হবে রাম মন্দির। পাথরের কাজ জানা ২৫০ জন সুদক্ষ কারিগরকে নিয়ে আসা হচ্ছে গুজরাট এবং রাজস্থান থেকে। মন্দির নির্মাণে ব্যবহৃত হবে না কোন লোহা। শুধুমাত্র পাথর দিয়েই তৈরি হবে অযোধ্যা রাম মন্দির টিকে থাকবে কমপক্ষে এক হাজার বছর। মন্দির নির্মাণ এমনভাবেই করা হবে যাতে কোনো প্রাকৃতিক বি-প-র্য-য় মন্দিরের কোনো ক্ষ-তি না হতে পারে। জানা গিয়েছে ইঞ্জিনিয়াররা মন্দির চত্বর এর মাটি পরীক্ষা করছেন।
মন্দির কর্তৃপক্ষ খুব দ্রুত গতিতে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে রেখেছে। এই মন্দির বানাতে রামমন্দির ট্রাস্ট হাতে সময় ধরেছে ৪২ মাস। ২০২৪ সালের হোলির দিন দর্শনার্থীদের জন্য মন্দির খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে মন্দির ট্রাস্ট।