জীবনে চলার পথে অনেক বাধা বিপত্তি। জীবনে রোজগারের উদ্দেশ্যে নানান পথ অবলম্বন করেন মানুষ। কিন্তু অনেকেই পরিণত বয়সের আগেই কাঁধে তুলে নেয় সংসারের দায়ভার। যে বয়সে কাঁধে নেওয়া উচিত স্কুলের ব্যাগ যে বয়সে মাথায় থাকা উচিত জননীর আদরের স্পর্শ। সেই বয়সে অনেক ছোট ছোট শিশুদের ই তাদের শৈশবকে ভূ’লুণ্ঠি’ত করে কাঁধে তুলে নিতে হয় জীবনের সং’গ্রা’ম। আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে শিশু’শ্র’মিকের দেখা মেলে।
হয়তো আ’ইন করে শিশু’শ্রম নি’ষিদ্ধ করা হয়েছে কিন্তু অনেক পরিবারের ক্ষেত্রে হয়তো দেখা যাচ্ছে নাবালক ছেলে বা মেয়ে ছাড়া পরিবারের সদস্যদের মুখে ভাত তুলে দেয়ার মত আর কেউ নেই। তাই তাদেরকে বাধ্য হয়ে অপরিণত বয়সে পরিশ্রমের মুখোমুখি হতে হয়। ঠিক এ রকমই একটি ভিডিও এসে উপস্থিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা দেখে যথেষ্ট দুঃখিত হয়েছেন আপামর নেটিজেনরা। যতদূর সম্ভব ভিডিওটি ক’রোনা আবহের আগের।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে একটি বাচ্চা ছেলে ট্রেনের মধ্যে ঢোল বাজিয়ে গান করে যাত্রীদের মনোরঞ্জন করার চেষ্টা করছে। উদ্দেশ্য তার একটাই, দুটো পয়সার মুখ দেখা। তার কাধে যে এই বয়সেই অর্পিত হয়েছে সংসারের এক বিরাট দায়ভার। যে বয়সে স্কুলে গিয়ে সে পড়াশোনা শিখবে সেই বয়সে সে রোজগার করতে বেরিয়ে পড়েছে। মানুষ পরিস্থিতির শি’কা’র।
তার বয়সী আর পাঁচটা বাচ্চা যখন বাড়িতে অত্যন্ত আদরে মানুষ হচ্ছে, সেই বয়সে এই শিশুটি পেটে’র জ্বা’লায় ট্রেনে গান গেয়ে দুটো পয়সা রোজগারের অন্বেষণ করছে। এইটুকু বয়সে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে সে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে নিজের মতো করে ঢোল বাজিয়ে শিশুটি গেয়ে চলেছে, ‘আভি তো পার্টি শুরু হুই হে’ গানটি।
আশপাশের লোকজন যদি দয়া করে তাকে দু’চারটে পয়সা দেয় তাহলে কোনমতে তার দিন গুজরান হবে। এটুকু আশা নিয়েই ট্রেনযাত্রীদের মনোরঞ্জন করে চলেছে ওই খুদে।বাস্তব এমনই একটা পর্যায় যা মানুষকে দাঁড় করায় তার কল্পনার অতীত যে কোনো পরিস্থিতিতে।
https://www.facebook.com/kalakaarsapp/videos/748438072640642/