বর্তমানে এই বিশ্বায়নের যুগে মানব সমাজ হয়েছে অত্যন্ত উন্নত। শিক্ষিত হতে শুরু করেছে সমাজের বেশিরভাগ স্তরের মানুষ জন। কিন্তু এখনও বেশ কিছু জায়গায় বারবার বাল্যবিবাহের নিদর্শন দেখা যাচ্ছে। মাতৃত্বকালীন মৃ-ত্যুর হার কমানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ভাবনা চিন্তা করছে। 2018 সালে আইন কমিশন অনুযায়ী মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স 18 হওয়া উচিত বলে মনে করা হয়েছে।
কিন্তু এবার খোদ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স পুনর্বিবেচনা করার দরকার। কারণ বর্তমানে বেশ কিছু জায়গায় মা-তৃ-ত্ব-কা-লী-ন মৃ-ত্যু, গার্হস্থ্য হিং-সা, অপুষ্টিজনিত হার ইত্যাদি কমানোর জন্য সুনির্দিষ্ট একটি পরিকল্পনা প্রয়োজন।আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “দেশের একটা বিরাট সংখ্যক মানুষ আর্থিকভাবে এখনো পিছিয়ে রয়েছেন তাই তারা মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেন।
তাই 18 বছরের পরে আরও কয়েক বছর যদি সেই সব পিছিয়ে পড়া পরিবার মেয়ের দায়িত্ব নিতে যায় তাহলে তাদের পক্ষে আরো সমস্যার সৃষ্টি হবে। যার ফলে লুকিয়ে বিয়ে করা, পালিয়ে বিয়ে করা এবং জাল সার্টিফিকেট দাখিল করে বিয়ে দেওয়া, নারী পা-চা-র ইত্যাদি ঘটনা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে রাজস্থান, হরিয়ানা এবং আরও বেশকিছু রাজ্যে কন্যা ভ্রুণ হত্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। তাই এই মুহূর্তে মেয়ের বিয়ের বয়স এক লাফে কয়েক বছর না বাড়ানোই ভালো।”
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ সুষুপ্তা চৌধুরী বলেছেন, “গ্রামের দিকে অল্প বয়সী মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেয়ার ফলে টিনেজ প্রে-গ-নে-ন্সি-র ঘটনা বেশী ঘটে। যার দরুন একটি মেয়ের শরীর পূ-র্ণ-তা পায় না যার ফলে মা এবং শিশুর দুজনেরই শারী-রিক সমস্যা বৃদ্ধি পায়। অল্প বয়সের না হওয়ার ফলে একটি মেয়ের প্রেগনেন্সি রিলেটেড ডিপ্রেশন, হাইপারটেনশন, প্রভৃতি বৃদ্ধি পাওয়ার আ-শ-ঙ্কা থাকে।
যদি একটি মেয়ে 22 থেকে 23 বছরে মা হয়, তাহলে তার শারী-রিক পূর্ণতা ঠিকঠাক হয়। তাই মেয়েদের বিয়ের বয়স 18 বছরের উপরে হলে তা মেয়েদের পক্ষে যথেষ্ট সুবিধা-জনক।”কেন্দ্রীয় সরকার চিন্তাভাবনা করছে মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স 18 থেকে বাড়িয়ে 21 করা হবে। কিন্তু বেশ কিছু জটিলতা দরুন এই সিদ্ধান্ত এখন কতটা ফলপ্রসূ হয় সেটাই দেখার বিষয়।