নিজস্ব প্রতিবেদন :-“ভারত আবার শ্রেষ্ঠ আসন লবে” কথাটির সাথে কেমন জানি একটা দেশ প্রেম জড়িয়ে আছে. সব দিক থেকে ভারত এগিয়ে আসবে এমনটা বিশ্বাস এই দেশের নাগরিকদের। এবং সেই বিশ্বাসের উপর আস্থা রেখে একের পর এক নিত্য নতুন জিনিস আবিষ্কার করে চলেছে ভারত ।





যদিও প্রতিরক্ষা ভারত অন্যান্য দেশ কে পিছনে ফেলে এখন বেশ অনেকটাই আগে। বলা যেতে পারে প্রথম সারিতে ।তবুও বিন্দুমাত্র কোথাও খামতি রাখতে চান না ভারত সরকার। একের পর এক ক্ষে-প-ণা-স্ত্র তৈরি করে চলেছে ভারতীয় সংস্থার ডিআরডিও। আরো একবার একটি নতুন ক্ষে-প-ণাস্ত্র পরীক্ষা মূলক ভাবে উৎক্ষেপণ করা হলো।
শব্দের থেকে প্রায় দ্বিগুণ গতিতে যেতে পারে এ ক্ষে-প-ণা-স্ত্র। ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এর পাল্লা এবং মাটির ৫০০ মিটার উপর দিয়ে এবং সর্বোচ্চ ২৫ কিলোমিটার উপর দিয়ে উঠতে পারে ক্ষে-প-ণা-স্ত্র। যার নাম রুদ্রম-১ । সম্প্রতি ডিআরডিও তরফ থেকে তৈরি করা হয়েছে এই এন্টি রেডিয়েশন ক্ষে-প-ণা-স্ত্র-টি যা নির্ভুলভাবে শত্রু-র রেডিয়েশন ঘাঁটিকে কে করে দিতে পারবেন ধ্বং-স ।





সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, এই ক্ষে-প-ণা-স্ত্র-কে সুখোই-৩০ এমকেআই-এর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কারণ, এই যুদ্ধবিমানের ক্ষমতা রয়েছে হরেক রকমের মিসাইল ও ক্ষে-প-ণা-স্ত্র- নিক্ষেপ করার।ভবিষ্যতে এই মিসাইলকে সুখোইয়ের পাশাপাশি, মিরাজ-২০০০, জাগুয়ার, তেজস ও তেজস মার্ক-২ বিমানের থেকেও নি-ক্ষে-প করা সম্ভব হবে। ক্ষেপণাস্ত্রটির ওজন প্রায় ১৪০ কেজি।
জানা গিয়েছে, শ-ত্রু-টা-র্গেট ধ্বং-স করার জন্য রুদ্রম-১ ক্ষে-প-ণা-স্ত্রে রয়েছে প্যাসিভ হোমিং হেড সহ দেশীয় জিপিএস নেভিগেশন সিস্টেম। যেকোনও রেডিয়েশন টার্গেটকে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম রুদ্রম। প্যাসিভ হোমিং হেড-এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিকোয়েন্সি চিহ্নিত করতে পারে রুদ্রম।





এই ক্ষে-প-ণা-স্ত্র-টি নিমেষের মধ্যে শ-ত্রু-র যে কোনও রেডার ও রেডিয়েশন-নির্ভর নজরদারি ব্যবস্থাকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে। এমনকী, মিসাইল নিক্ষেপ হওয়ার পরে যদি রেডার বন্ধ করা দেওয়া হয়ও, তাহলেও রেডিয়েশন সিগনেচার চিহ্নিত করতে সক্ষম এই ক্ষে-প-ণা-স্ত্র।
সম্প্রতি এই বিষয়টিকে নিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রামনাথ সিং। এর পাশাপাশি ভারত প্রতিরক্ষা দিক থেকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল দেশ। এবং এই রুদ্রম ওয়ান ভারতীয় বায়ুসেনা তে এক অসামান্য অবদান রাখতে চলেছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই ।




