







নিজস্ব প্রতিবেদন: বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই দেশের বাজারে ব্যাপক রকম ভাবে ড্রাগন ফলের চাহিদা বেড়েছে। বহুমূল্য এই ফল বাজারে কিন্তু বেশ দামে বিক্রি করা হয় এবং যারা এই কাজে অংশগ্রহণ করেন তারাও কিন্তু বেশ মোটা টাকা উপার্জন করে থাকেন। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত শুধুমাত্র থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইসরায়েল, শ্রীলঙ্কা ইত্যাদি দেশে এই ফল চাষ করা হতো।
তবে আন্তর্জাতিক বাজার এবং দেশীয় বাজারের প্রতি নজর রেখে এখন ভারতেও ব্যাপকভাবে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি এই ড্রাগন ফল চাষ করে লাভবান হয়েছেন এমন একজন কৃষকের কথা আমরা আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করে নেব। ইনি হলেন কুলতলী গ্রামের বাসিন্দা জয়দেব পুরকাইট । মাত্র দশ কাঠা জমির উপরে নানান ধরনের ফসলের চাষ শুরু করেছিলেন এই ব্যক্তি।




প্রধানত মিশ্র চাষ করেই উপার্জন করেন তিনি। তাই একসাথে বিভিন্ন ধরনের ফল আর সবজি লাগিয়েছিলেন জয়দেব বাবু। যার মধ্যে তিনি ড্রাগন ফলের চাষ করেছিলেন আর সেটাতে ব্যাপকভাবে লাভবান হয়েছেন। মাত্র দশ কাঠা জমিতে ড্রাগন ফল চাষ করে যে এত টাকা উপার্জন করা যেতে পারে সেটাই হয়তো ছিল তার প্রথমদিকে ধারণার বাইরে।




পাঠক বন্ধুদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে রাখি, ড্রাগন ফলের একটা গাছ ওপর গাছের থেকে বেশ কিছুটা দূরত্ব রেখে প্রতিস্থাপন করতে হয়।। এই মাঝখানের ফাঁকা জায়গাতে কিন্তু আপনারা একসাথে অন্যান্য কোন চাষও করতে পারেন। কমবেশি আপনারা অনেকেই জানেন ড্রাগন ফল বাজারে প্রতিকেজিতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। সুতরাং এই চাষ যে আপনাকে দারুন উপার্জন এনে দেবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
সঠিক পদ্ধতিতে ড্রাগন ফল চাষ করতে পারলে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করা যেতে পারে। বহু কৃষক কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকেও ড্রাগন ফল চাষ করতে গিয়ে নানান ধরনের সাহায্য পেয়েছেন। তাই একেবারে নিশ্চিন্তে এই চাষের কাজ আপনারা শুরু করুন। এই প্রসঙ্গে কুলতলি ব্লকের উদ্যান পালন বিভাগের ক্ষেত্র উপদেষ্টা লক্ষণ চন্দ্র কয়াল জানিয়েছেন,“ড্রাগন ফল যে খুবই লাভ জনক ব্যাবসা।চাষের জন্য যে পরিমান জল লাগবে তা পুকুর থেকে নেওয়া যাবে। সরকারি ভাবেও এ চাষ সম্পর্কে আরো পরামর্শ দিচ্ছে সরকারি উপদেষ্টারা”।











