কথাতে আছে ” জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর” । বাস্তবে তার অন্যথা হয়নি বিহার এর একটি গ্রামে। সেখানে যে ভগবানের পুজো হয় তিনি আর অন্য কেউ নন বরং আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । হ্যাঁ ঠিক ই শুনেছেন । ওই গ্রামের মানুষ জন ভগবান রূপে প্রতিনিয়ত নিয়ম মেনে পুজো করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী কে । বাস্তবে শুনতে আজগুবি মনে হলেও আসলে এমনটাই হয় বিহার এর এই গ্রামে ।
সেখানে নরেন্দ্র মোদির একটি মূর্তি বানিয়ে ফেলেছেন গ্রামবাসীরা। হনুমান মন্দির এর ঠিক পাশের এই মন্দির যার নাম দেশের প্রধানমন্ত্রীর নামকরণে করা হয়েছে। এই গ্রামের বাচ্চা থেকে বয়স্ক প্রায় সকল বয়সের মানুষেরা রীতিমতো ভগবানের চোখে দেখেন দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। বিরল এই ঘটনা টি দেখা যায় কাটিহারের আজমনগরের আনন্দপুর গ্রামে।
ওই গ্রামের মানুষজন মনে করেন নরেন্দ্র মোদি আসলে উন্নয়নের দেবতা। তাই তারা মিলিত ভাবে সকল গ্রামবাসীরা মিলে স্থাপন করেন একটি মন্দির । সকাল সন্ধ্যা পুজো ও আরতির ব্যবস্থা করা আছে এখানে। গ্রামের সকল বাসিন্দারা একজোট হয়ে চাঁদা তুলে হনুমান মন্দিরের পাশে স্থাপন করে এই মন্দিরটি ।
শুধুমাত্র এখানেই থেমে নেই তারা। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের দিন প্রতি বছর একটা উৎসব এর আমেজ থাকে গোটা গ্রাম জুড়ে। পরিষ্কার করা হয় রাস্তাঘাট, আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয় গ্রামের প্রতিটি অনাচ কানাচ। সাথে গ্রামের প্রতিটি ঘিরে পুজো এর রেওয়াজ রয়েছে বলে জানা যায় । উনার জন্মদিনে ব্যাপক হারে স্বচ্ছতা অভিযান চালানো হয় গ্রামবাসীর তরফ থেকে ।
পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত লাগোয়া এই গ্রামটিতে স্বাধীনতার সত্তর দশক পরেও ছিলো না পাকা রাস্তা, জল, বিদ্যুৎ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর ওই গ্রামে মিলেছে জল, বিদ্যুৎ, হয়েছে পাকা রাস্তা এমনটাই দাবি ওখানকার গ্রামবাসীদের। মূলত এই কারণের জন্য ওনাকে ভগবান এর চোখে দেখেন ।
এ ব্যাপার এ ওখানের স্থানীয় বাসিন্দা মনোজ কুমার সাহা বলেন ” আমাদের গ্রামে প্রায় ২০০ টি পরিবার আছে, পরিবারের সকলে দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভক্ত, সাথে ওনাকে ভগবানের চোখে দেখে। গ্রামের সকলে মিলে চাঁদা তুলে আপাতত এই ছোট মন্দির স্থাপন করা হয়েছে তবে খুব শীঘ্রই একটা বড় মন্দির স্থাপন করতে চলেছে তারা । ” তাদের ইচ্ছা অন্তত নরেন্দ্র মোদি অন্তও একবার যেন তাদের গ্রাম পরিদর্শনে আসেন।