নিজস্ব সংবাদদাতা: নতুন চাকরি পেয়েছেন? স্যালারি কম? তাতে কী? সঞ্চয়ের জন্য আপনার জন্যেই এটি উপযুক্ত সময়। অনেকেই ভাবতে শুরু করে দেই আমরা যে চাকরি পাওয়ার সাথে সাথেই সঞ্চয় করার কি দরকার? কিন্তু যদি আপনি প্রথম থেকেই সঞ্চয় করা শুরু করেন,আপনার বিচক্ষণ সিদ্ধান্তই আপনাকে ভবিষ্যতে সাহায্য করবে।





চাকরি যেই বেতনের হোক না কেনো,আপনি নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ ধীরে ধীরে সঞ্চয় করার অভ্যেস করুন।
এখন দৈনিক অায় ন্যূনতম 500 টাকা যে কোনো পেশায়।প্রথম দিকে একদিনের আয় সঞ্চয় করুন প্রতি মাসের জন্যে।পরে ধীরে ধীরে আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গতি বজায় রেখে সঞ্চয় এর পরিমাণ বাড়ান।
উপার্জন বাড়লে ধীরে ধীরে তা কোথাও বিনিয়োগ করুন।এর ফলে আপনি একটু নির্দিষ্ট সময় অন্তর ভালো পরিমাণ রিটার্ন পাবেন।এবার দেখে নিন কোথায় ভালো রিটার্ন পাওয়া –





ফিক্সড ডিপোজিটস (এফডি) – প্রাথমিক বিনিয়োগ হিসেবে সবথেকে ভালো হলো এফ ডি। যারা প্রথমবার বিনিয়োগ করছেন তাদের জন্যে এফ ডি করা সুবিধেজনক। সাম্প্রতিক কালে ব্যাংক এর তরফ থেকে অনেকবার সুদের হার কমানো হয়েছে। তবুও নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে ফিক্সড ডিপোজিট এর জুড়ি মেলা ভার।
মিউচুয়াল ফান্ডে এসআইপি – দীর্ঘমেয়াদে টাকা সাশ্রয় করার জন্য আপনি ভাবতে পারেন মিউচুয়াল ফান্ড এর কথা। কিস্তির অনুযায়ী এখানে টাকা রাখতে পারবেন। এস আই পির ব্যালান্সড ফান্ডে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করলে টাকা খোয়ানোর ভয় কম থাকে। এতে ভালো রিটার্ন এর পাশাপাশি ট্যাক্স এর ওপর বিশেষ ছাড় থাকে। কোনো বিশেষ কারণের জন্যে আপনি খুলতে পারেন এস আই পি একাউন্ট।





ইকুইটি – বাজার সম্পর্কে যদি আপনার ধারণা স্বচ্ছ,তাহলে আপনি ইক্যুইটি করুন।বেশি মেয়াদে লগ্নি করে বেশি পরিমাণ রিটার্ন পেতে চাইলে, ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করুন।
ইন্সিওরেন্স বা বিমা – স্বাস্থ্যবিমা কিংবাজীবনবিমা, দুটোই দরকারী। স্বল্প প্রিমিয়াম দিয়েও পলিসি করতে পারবেন, নতুন চাকরি হবার পর কম প্রিমিয়াম এর কোনো পলিসি করুন। তারপর ধীরে ধীরে আরো পলিসি গ্রহণ করুন।





পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড – পি পি এফ করলে সুদের হার ভালই পাবেন,তাছাড়া এই ফান্ডে লগ্নি করলে কোনো রকম ঝুঁকি নেই। পি পি এফ আপনি ব্যাংক বে পোস্ট অফিসে গিয়ে করতে পারবেন।




