নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্তমান করোনা মহামারী প্রকোপ সারা বিশ্বজুড়ে বিরাজমান।এর মধ্যেই সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে যারা প্রতিনিয়ত ট্রেনে বাসে ট্রামে চড়ে তাদের গন্তব্য স্থল অর্থাৎ কাজকর্মে যোগ দান করতেন তারা কিন্তু সম্পূর্ণভাবে গৃহবন্দী।এই গৃহবন্দি কিছুদিন হয়তো সাধারণ মানুষের কাছে খুব উপভোগ সময় ছিল কিন্তু প্রতিনিয়ত যতদিন ক্রমশ অতিবাহিত হচ্ছে ততো মনে হচ্ছে যেন মানুষ ক্রমশ অলস হয়ে পড়ছে।
আর সেই সময়ে মানুষ তার অবসর সময় তাকে কিছুটা উপভোগ করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্পূর্ণভাবে বিরাজমান।এই সোশ্যাল মিডিয়া একদিকে যেমন ভাল প্রভাব ফেলে তেমনি আবার এর কিছু কুপ্রভাব রয়েছে কিংবা এমন কিছু কিছু জিনিস সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয় যা কিনা সমাজবিরোধী কিংবা মনকে আঘাত দিয়ে যায়।
সম্প্রতি একটি অতি জনপ্রিয় চ্যানেল স্টার জলসা বহু বছর আগে একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক প্রতিবেদন ছিল “মা”। এই এই মা শব্দটি শুনতে ছোট হলেও এর মধ্যে জড়িয়ে আছে অনেক স্বার্থপর অনেক কষ্ট অনেক ভালোবাসা সবকিছু মিলিয়ে এই শব্দটি জর্জরিত। তাই হয়তো বহুদিন আগে যখন এই ধারাবাহিকটি স্টার জলসা নামক চ্যানেলে প্রতিবেদন করা হতো তখন হয়তো বাচ্চা থেকে বুড়ো সবাই কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক যেন বোকা বাক্সের পর্দায় নিজেকে নিয়োজিত করে দিতেন।
হয়তো এই ধারাবাহিকটির মধ্যে ছিল বাস্তব জীবনের কাহিনী কিছু ভালোলাগা কিছু খারাপ লাগা এবং তার সাথে কিছু সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ। এইমা ধারাবাহিকটি অনেকেই দেখতেন। সন্ধ্যা রাতে প্রায় ঘরে ঘরে চলতো এই জনপ্রিয় ধারাবাহিকটি। দর্শকদের মধ্যে আচর কেটে গেছিল এই ধারাবাহিকটি।এই মা ধারাবাহিকে প্রধান মুখপাত্র ছিলেন ঝিলিক তথা তিথি বসু।
মা ও মেয়ের আন্তরিক যে টান সেটা কিন্তু দর্শকদের মনের গভীরে স্থান করে নিয়েছিল।ধারাবাহিকটিতে দেখানো হয়েছে ছোট্ট বেলায় ঝিলিক তথা য তিথি বসু তিনি মায়ের কোল থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। এই ছোট্ট দিদির শিশুটি মায়ের কোল থেকে হারিয়ে যাওয়া সেই কষ্ট দুঃখ দর্শকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। এই ধারাবাহিকটি অতি জনপ্রিয় একটি গান ছিলো “তোমায় ছাড়া ঘুম আসেনা মা”।
ধারাবাহিকে প্রধান চরিত্রের নাম ছিল ঝিলিক। তার নাম তিথি বসু। তিথি বসু নামে তিনি সকলের কাছে পরিচিত। তিথি বসু ওরফে ঝিলিক ক্লাস 3 থেকে ক্লাস 9 পর্যন্ত ধারাবাহিকটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।খুব ছোট বয়স থেকেই তিনি অভিনয় জগতে এসেছেন শোনা যায় তিনি টালিগঞ্জের রানিকুঠি এলাকায় বসবাস করেন।
সেই তিথি বসু বর্তমানে অনেক বড় হয়েছেন । টালিগঞ্জ এলাকার জিডি বিড়লা স্কুলের ছাত্রী তিথি। বর্তমানে স্কুল শিক্ষা শেষ করে আশুতোষ কলেজে সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করেন।বর্তমানে নিজেকে তিনি সোশ্যাল মিডিয়া ধরে রাখার প্রচেষ্টা করেছেন এর সাথে সাথে প্রচুর ছবি ভাইরাল হয়। দীর্ঘ লকডাউনের মধ্যে অনেক হট লুকিয়ে ছবি তুলেছেন।
আর এই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সেই সব হট লুক এর ছবি নিমেষের মধ্যে ভাইরাল হচ্ছে।আর সেই সব ছবিতেই নেটিজেনরা ছোট্ট সেই মায়ের কোলে থাকা ঝিলিককে দেখে পুরো অবাক হয়ে গেছেন। আবার অনেকেই বিদ্রুপ কিছু মন্তব্য করেছেন। একটি অতি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার সংস্থা ইনস্টাগ্রামে তিনি সেই সব হট লোকের ছবি ভাইরাল করেন,কিন্তু তিথি বসু সেইসব নেটিজেনদের বিরূপ মন্তব্যের কোন তোয়াক্কা না করে নিজের মতই ছবি শেয়ার করছেন।