নিজস্ব প্রতিবেদন :-এই মুহূর্তে সংবাদমাধ্যমে যত খবর আসছে বা আমাদের সামনে আসছে সেই সব খবর কে ছাপিয়ে যাচ্ছে বারবার এই কৃষি বিল । বহুদিন আগে কৃষি বিল করা হয়েছিল কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য । যেখানে একটা ন্যূনতম দামের কথা বলা হয়েছিল । যাতে কেউ কৃষকদের ওপর জোর জুলুম বা অন্যায় ভাবে অত্যাচার করতে না পারে । কিন্তু কিছুদিন আগে রাজ্যসভায় ১৫ টি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করে নিয়েছে বিনা বাধায় কেন্দ্রীয় সরকার ।
তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৃষি বিল । কথাটি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য । দেশ জুড়ে গড়ে উঠেছে প্রতিরোধের ব্যারিকেড । রাস্তায় রাস্তায় চলছে বিক্ষোভ আন্দোলন ।তবে সেই তালিকা থেকে বাদ গেলোনা কংগ্রেস ও কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে নামলো পথে ।
চলতি সপ্তাহেই সরকারের বিল পাস নিয়ে মনোভাবের প্রতিবাদে সংসদের অধিবেশন বয়কট করেছে বিরোধীরা। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মূলত চাপ সৃষ্টি করা যে প্রধান উদ্দেশ্য তা পরিষ্কার। কিন্তু কাজে আসেনি এই কৌশল। ঠিক এই সময়কে কাজে লাগিয়ে বিরোধী শূন্য রাজ্য সভায় ১৫ টি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করিলেন কেন্দ্রীয় সরকার । এই বিলের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে তিনটি কৃষি বিলের পুনর্বিবেচনা করে সংশোধনের জন্য আর্জিকরেছিলেন রাজনাথ কোবিন্ড এর কাছে। ।
এবার সেই সরকারের ভিত নাড়াতে মাঠে নামছে কংগ্রেস । প্রায় দু’কোটি কৃষকদের স্বাক্ষর সংগ্রহের পথে কংগ্রেস । শুধুমাত্র তাই নয় শুক্রবার গোটা দেশজুড়ে বন্ধের এর আর্জি জানিয়েছে ভারতের কৃষক সংগঠনগুলির। মূলত পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার সম্পূর্ণরূপে বন্ধের ডাক দেয় তারা ।
এর পাশাপাশি কংগ্রেস আন্দোল পরিচালনা করার জন্য ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন । যে কমিটিতে আছেন এ কে অ্যান্টনি, আহমেদ প্যাটেল, অম্বিকা সনি, কেসি ভেনুগোপাল, মুকুল ওয়াসনিক এবং রণদীপ সিং সুরজেওয়াল। এর পাশাপাশি কৃষি বিলের বিরোধিতা আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি।
তাদের মতে সরকারের বিল আনার আগে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে অন্তত একবার মতামত নেওয়া দরকার ছিল । এর পাশাপাশি কংগ্রেসের বক্তব্য কৃষকদের এবং মানুষকে ভুল বুঝাচ্ছে মোদি সরকার আমরা এর বিরোধিতা করেই ছাড়বো ।