নিজস্ব প্রতিবেদন:- সামনের বিধানসভার ভোট কে মাথায় রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবিরের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। প্রায়ই বড় বড় মিছিল দেখা যায়। কোথাও তৃণমূলের মিছিল তো কোথাও বিজেপির মিছিল আবার কোথাও সিপিএমের মিছিল ।তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতামত এই পশ্চিমবাংলায় খেলা ঘোরাচ্ছে বামপন্থীরা। ঘুরতে পারে খেলা ,পাল্টাতে পারে হাওয়া । তাহলে কি এবার সবুজ শিবিরে দখল করবে লাল ঝান্ডার কাস্তে হাতুড়ি? প্রশ্ন বড় অংশের।
বহুকাল আগে থেকেই কেশপুর এমন একটি জায়গা যেটা বহু বছর ধরে বাম শাসিত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ২০১১ সালে তা পাল্টে চলে আসে শাসক দলের হাতে অর্থাৎ যেখানে তৃণমূলের আগমন ঘটে ।কিন্তু সামনে একুশে ভোটের আগেই স্রোতের বিপরীতে হাটলো কেশপুরের বাসিন্দারা ।
কেশপুরে শতাধিক পরিবার যোগ দিলো সিপিএমে । সারা রাজ্যে যখন বিজেপি সংগঠন মজবুত করার লক্ষ্যে ঠিক তখনই কেশপুরের কয়েকশো পরিবার হাতে তুলে নিল লাল ঝান্ডা । অক্সিজেন পেল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট । তাহলে কি এবার তৃণমূলের ঘাঁটি সরিয়ে বামেদের পথে হাঁটতে চলেছে কেশপুরে বাসিন্দারা ? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
কিন্তু হঠাৎ কেন এই স্রোতের বিপরীতে হাঁটল কেশপুরের বাসিন্দারা ? । এই প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস সিনহা জানান যে ” কেশপুরে বহু বাসিন্দা বাইরে থাকেন এবং লকডাউন এর কারণে আটকে যাওয়ায় তাদের এই দুঃসময়ে পাশে একমাত্র ছিল সিপিএম । মানুষ সেটা বুঝতে পেরেছে। তাদের ত্রাণ পৌঁছানোর পাশাপাশি তারা তাদেরকে ঘরে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছিলেন তারা ।
এর পাশাপাশি কেশপুরে মানুষেরা দেখেছে এই ভ-য়া-ব-হ পরিস্থিতিতে তৃণমূল বা বিজেপি কেউ তাদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। দাঁড়িয়েছে একমাত্র সিপিএম ।তাই কার্যত তৃণমূল এবং বিজিপির উপর আস্থা হারিয়ে কেশপুরের বাসিন্দারা হাতে তুলে নিয়েছে লাল ঝান্ডা ” ।
তিনি আরো জানান যে” দেশে এই ভ-য়া-বহ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়নি শাসকদল বরং সিপিএম এই কেশপুরে তৈরি করেছিল” কমিউনিটি কিচেন” । যা থেকে উপকৃত হয়েছিল বহু মানুষ “। বেশ কিছুদিন আগে ঘাটালের সাংসদ দেবের ভাইপোকে ত্রাণ তহবিল পৌঁছে দিয়েছিলেন সিপিএমের সদস্যরা। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়েছিল নেট দুনিয়ায় সেটি ।
২০১১ সালে পালাবদলের পর সিপিএমের পার্টি অফিস বা দলীয় কার্যালয় গুলি চলে যায় তৃণমূলের দখলে। কিন্তু সামনে বিধানসভা ভোটের জন্য পায়ের তলায় ফের জমি ফিরে পাচ্ছে সিপিএমের। এ বিষয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানান যে সিপিএম ই একমাত্র বাংলায় থাকা দল যে সাধারণ মানুষের কথা ভাবে । তাহলে কি কোথাও আবার ঘুরে দাঁড়াবার লড়াই জারি থাকছে তাদের ? ।