




নিজস্ব প্রতিবেদন :-রাস্তাঘাটে পুলিশ দেখলেই আমরা একটু হলেও থতমত খেয়ে যাই । কথাতে আছে পুলিশকে নিজের বন্ধু ভাবো ভয় পেয়ো না । কিন্তু অনেক সময় অবাঞ্চিত তর্ক ঝামেলা কারণবশত আমরা সাধারণত পুলিশকে এড়িয়ে চলি । তবে নিজের ঘরের বিপদ হোক বা অন্য কোনো বিপদ সবার আগে স্মরণ করি সেই পুলিশকে । অতএব এটা পরিষ্কার বিপদ হোক বা না হোক , দরকার ত্বক বা না হোক পুলিশ আমাদের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত । পুলিশ যে সমাজের বন্ধু সে কথাটি কে আরো একবার প্রমাণ করে দিল কলকাতার পুলিশ ।ফিরিয়ে দিলো প্রাণ অসুস্থ ব্যক্তির ।





দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাতে অসুস্থ অবস্থায় পড়েছিলেন এক বৃদ্ধ । করোনা সন্দেহে কেউ তাকে স্পর্শ করত না । অথচ উঠে যাওয়ার মতন সামর্থ ছিলনা সেই বৃদ্ধর। কাজের বিছানাতে মলমূত্র ত্যাগ করতেন সেখানে ।এর ফলে সৃষ্ট দুর্গন্ধ । তার পাশ দিয়ে পেরোনো রীতিমতো দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে উঠেছিল । ঘটনাটি ঘটে ৭৫ বছর বয়সি রবীন্দ্রনাথ পাল এর সাথে শ্যামবাজার ফুটপাতে।
আত্মীয়-স্বজন থাকার সত্বেও নিজের স্বভাবের জন্য তা সাথে কেউ যোগাযোগ রাখেনি । এমনটাই বক্তব্য স্থানীয়দের। কিন্তু দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় ফুটপাতে পড়ে থাকার ফলে রীতিমতো জীবন হয়ে উঠছিল সংশয় । তাই রতন সাউ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বেলা ৯টা নাগাদ,পুলিশের ১০০ নম্বরে ফোন করে,বৃদ্ধের অসুস্থতা ও অসহায়তার কথা জানান।কিছুক্ষণের মধ্যেই বটতলা থানা থেকে পুলিশ এসে বৃদ্ধকে ওখান থেকে উদ্ধার করে , অ্যাম্বুলেন্সে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যায়।





বৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথ, যে বাড়িতে থাকেন,সেই বাড়ির ,বাড়ি ওয়ালার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।সেই মামলা দীর্ঘদিন ধরে চলছে।এছাড়া ওখানে যত আত্মীয় রয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করে রেখেছেন।তাই কেউ আসতে চাননি।এলাকায় বৃদ্ধকে সবাই ,কথায় কথায় মামলা করেন বলে এড়িয়ে চলেন।
স্থানীয় এক ব্যক্তির কথাঅনুযায়ী, ‘ প্রতিবারই এই বুড়ো এই ভাবে অসুস্থ হন,সবাই মিলে হাসপাতালে ভর্তি করে আসেন।সুস্থ হয়ে এসেই আবার মামলা করে করো না করো নামে।মাঝে মাঝে বুড়োর ভীমরতি ধরে।তাই এবার কে আসেনি। ‘ কিন্তু সেই বৃদ্ধ প্রাণ ফিরিয়ে দিলেন কলকাতার পুলিশকর্মী । আরো একবার মানবিকতার পরিচয় দেখল গোটা কলকাতা শহর ।





পুলিশ যে সমাজের বন্ধু সেটা আজকে আবার প্রতিষ্ঠিত হল।যে পুলিশ ডান্ডা উঁচিয়ে মারতে ধেয়ে আসে,আবার তারা যে অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করান,সেটা কোন নতুন নজির নয় বটে,তবে আরো বিশ্বাসের খাতাটা বড়ো হল পুলিশের। সাথে বড় হল পুলিশের সাথে বিশ্বাসের জায়গাটা । মহানগরী দেখলো মানসিকতার ও মনুষত্বের অন্যদিক ।




