নিজস্ব প্রতিবেদন :-অনুব্রত মণ্ডল তথা বীরভূম জেলা সভাপতি কথা আমাদের কারোরই অজানা নয়। দামাল ছেলে এই অনুব্রত মণ্ডল খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বক্তব্যের কারণে। এইবার সেই অনুব্রত মণ্ডল কে প্রাণনাশের হু-ম-কি দিলেন তারই দলের একজন ।কথাটি শুনতে অবাস্তব এবং আজগুবি মনে হলেও বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে।
বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে গ্রেপ্তার হলেন পাশের জেলা বর্ধমানের অন্তর্গত গুসকরা পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। আউসগ্রাম থাকা এক তৃণমূল কর্মী প্রাক্তন কাউন্সিলর বি-রু-দ্ধে অভিযোগ জানায়। সেই অ-ভি-যো-গের ভিত্তিতেই গ্রে-ফ-তার হন তিনি তবে তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে ওই এলাকায় বেশ সক্রিয় এবং পরিচিতি একটা মুখ নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। পদ না থাকলেও মানুষের মনে এখনো একটা আলাদা জায়গা আছে তার এমনটাই দাবি অনেকের।
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে একই টাকা লেনদেন কে কেন্দ্র করে । নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য অনুযায়ী “বেশ কিছুদিন আগে অনুব্রত মণ্ডল তার স্ত্রীর ক্যান্সার চিকিৎসা করানোর জন্য ২০ লক্ষ টাকা ধার নেয়,। তিন-চার মাস পর ফেরত দিয়ে দেবে একথাও তিনি বলেন।
কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো সেই টাকা ফেরত পাননি। টাকা ফেরতের কথা বললে অনুব্রত মণ্ডল জানান যে তিনি তার কাছ থেকে কোন টাকা নেননি । তার কাছে কোন প্রমাণ নেই”। অথচ নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় জানান টাকা নেওয়ার প্রমাণ তার কাছে আছে। শাসক দলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রীতিমতো হতাশ অনেকেই।
পুলিশ নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় কে গ্রে-প্তা-র থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে একটানা বলে গেলেন তিনি। তিনি বলেন “অনুব্রত মণ্ডল ক্রিমিনাল ।২০০ এর বেশি খুন করে আজ এই জায়গায় পৌঁছেছে। নিজেকে CM থেকে বড় কিছু ভাবে সে ।বাজারে মাগুর মাছ বিক্রি করা অনুব্রত মণ্ডল কিভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হলো? বেল পেয়ে ছাড়া পাই, তারপর আবার যাবো কলার ধরে টাকা চাইবো “।
তবে থেমে থাকেনি বীরভূম জেলা সভাপতি। পাল্টা জবাবে তিনি বলেন “নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় পাগল লোক। তার কাছে বিনা লাইসেন্সে বেআইনিভাবে প্রচুর অ-স্ত্র-শ-স্ত্র আছে। আমি তার থেকে টাকা ধার কেন নেবো “। পুরো ব্যাপারটা ত-দ-ন্ত করছে । তবে ভোটের আগে এরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মোটেও ভালো চোখে দেখছে না দলের কর্মীরা ।