




নিজস্ব প্রতিবেদন:-নির্বাচনী প্রাক্কালে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল নিজস্ব সংগঠন মজবুত করার কাজে কোমর বেঁধে নিয়ে লেগে পড়েছে। কখনো কাজের খতিয়ান দেখানোর জন্য রিপোর্ট প্রকাশ করছে শাসক দল। আমার কখনো বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আগমন ঘটছে বাংলায়। খুব বেশি দেরি নেই বাংলার নির্বাচনী মঞ্চ তৈরি হতে।ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ২০২১ সাল। হাতে গোনা আর কয়েক মাস,তারপরই কে বসবে বাংলার সিংহাসনে তা জানতে পারবে সাধারণ মানুষ।





সম্প্রতি ফের রাজ্য বিজেপির প্রচারে বাংলায় আসবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।জানা গিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার মুস্থুলি গ্রামে দলীয় জনসভার পাশাপাশি আরও কিছু নির্ধারিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন তিনি।





এদিন কাটোয়ার কাছারি রোডে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার নাড্ডার সফরসূচি ব্যক্ত করলেন।সফরসূচি সামনে আসার পর থেকেই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব জে পি নাড্ডার সফরের প্রস্তুতি করতে শুরু করে দিয়েছেন ইতিমধ্যেই।





এই প্রসঙ্গে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানান,“৯ জানুয়ারি মুস্থুলি গ্রামে কলেজের পাশের জমিতে সভাস্থল করা হয়েছে। সভার আগে জেপি নাড্ডা কাটোয়ার গৌরাঙ্গবাড়িতে পুজো দেবেন। সেখান থেকে মুস্থুলি গ্রামে এক কৃষকের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারবেন।”এদিন রাজ্যের বিজেপি দলের সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন,সংসদ সুকান্ত মজুমদার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব সভাস্থল পর্যবেক্ষণে যান।





৯ জানুয়ারি জেপি নাড্ডা সভা করবেন বলে ঠিক করা হয়েছে বিজেপি তরফে।অনেকেই মনে করছেন এই সভায় শাসক দল থেকে অনেক উচ্চস্তরীয় নেতাদের যোগদানের পর্ব সমাপন ঘটতে পারে। কয়েক দিন আগেই রাজ্য সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।এসেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বাংলা থেকে বিতাড়নের চ্যালেঞ্জ করে ২০০ এর অধিক আসন টার্গেট করে যান।





আর সেই টার্গেটের লক্ষ্য পূরণ করতেই রাজ্য বিজেপির নেতারা জোরকদমে নেমে পড়েছেন রাজনৈতিক ময়দানে।এদিন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অরবিন্দ মেনন জানান,“তৃণমূল কংগ্রেস যাচ্ছে। বিজেপি আসছে। তৃণমূল কংগ্রেস এবার শুধুমাত্র দুজনের দল হয়ে যাবে।





“পাশাপাশি অন্যান্য বিজেপি নেতাদের মতন তিনিও ভাইপো কটাক্ষ টেনে নিয়ে এসে বলেন,“পশ্চিমবঙ্গে পাহাড় আছে, সমুদ্র রয়েছে। আবার সুন্দরবন রয়েছে। তবুও বাংলা পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল সরকারের জন্যই। তাই মোদিজির নেতৃত্বে সোনার বাংলা গড়ে তোলার শপথ নিয়েছে বিজেপি।”




