নিজস্ব সংবাদদাতা: মেদিনীপুরে কৃষিবিলের সমর্থনে বিভিন্ন মিছিলে জনসভায় যোগদান করছেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই তাকে সংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, “রাজ্য সরকারের অন্যতম মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এখন কেন সেইভাবে দলীয় কোনও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন না? তাহলে কি বিজেপিতে যোগদান করছেন?”





সাংবাদিকদের ওই প্রশ্নের উত্তরে সাসপেন্স রেখে তিনি জানান, “আমাদের দরজা বড় করে রেখেছি সবার জন্য৷ যে আসতে চাইবে তাঁকে স্যানিটাইজ করে নেবো।”রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তার আগামী দিনের রাজনৈতিক গতিপথ কোনদিকে চালনা করবেন, তা রীতিমতো জল্পনার বিষয়। তবে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “দিদি লোকসভা নির্বাচনে প্রচার করেছিল ২০১৯ বিজেপি ফিনিশ। আমি দিদিকে বলেছিলাম ২০১৯ বিজেপি কি জিনিস তা ২১ শে আবার জানতে পারবেন।”
রূপনারায়ণ নদীর তীরে একটি সভায় যোগ দিতে যাওয়ার আগে মর্নিং ওয়াক করেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়। প্রত্যুত্তরে বিজেপি সমর্থকেরাও পাল্টা স্লোগান দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। পরে ত সামাল দেওয়া হয় পুলিশ প্রশাসনের সাহায্যে।





এরপর চায়ে পে চর্চায় যোগ দিয়ে স্লোগান প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ ব্যাঙ্গের সুরে আক্রমণ করে বলেন, “আমরা প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলাম। সেখানে যদি কেউ কালো পতাকা দেখায় তাহলে ভাবতে হবে তাঁর মাথার ঠিক নেই। সরকার নেই, দল নেই তাই মুখ্যমন্ত্রীর মাথার ঠিক নেই, তাঁর ভাইদের কী হবে? যাদের দোকান উঠে যাচ্ছে তারা চেঁচামেচি করছে। যাদের মুখ কালো হয়ে যায় তাঁরা কালো পতাকাই দেখায়।”





শনিবার কৃষি বিলের সমর্থনে খড়গপুরে একটি জনসভায় কদর্য ভাষায় রাজ্য পুলিশকে আক্রমণ করেন এই বর্ষীয়ান নেতা।দিলীপ ঘোষ সেদিন জানান “পুলিশকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে কর্মীদের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।
দলের চুনোপুঁটিদের ভয় দেখিয়ে ভাঙিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।ওই ভাড়াটে সেনা দিয়ে হবে না। কার্যকর্তাদের বুকে আগুন জ্বলছে। ওই পুলিশ, ওই গুন্ডার মুখে প্রস্রাব করে দিই আমরা।”এই বিতর্কিত মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গেছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।




