ভারতীয় রেল বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে তাদের ব্যবস্থায়। লোকসান থেকে বাঁচতে বর্তমানে ১৫১ টি ট্রেনকে তুলে দেওয়া হচ্ছে বেসরকারি হাতে। ভারতীর রেলের আরেকটি প্রোজেক্ট অভাবনীয় সাফল্যের মুখ দেখেছে। প্রথম থেকেই ভারতীয় রেলের বিভিন্ন প্রোজেক্ট সাফল্যের সাথে অগ্রসর হয়েছে। যেমন , ভারতীয় রেল করোনা আ-ব-হে স্থগিত থাকা ২০০ টি প্রোজেক্ট কে পরিপূর্ণ রূপ প্রদান করেছে।
ভারতের সবথেকে বড়ো মালগাড়ি এবং সবথেকে দ্রুত মালগাড়ি শেষনাগ, সুপার অ্যানাকোন্ডা তৈরির প্রোজেক্ট কে বাস্তবায়িত করেছে । ডবল ডেকার ট্রেনও চালিয়েছে রেল।ইন্ডিয়ান রেলওয়ে মধ্যপ্রদেশের বীনায় তৈরি করেছে একটি সোলার প্ল্যান্ট। এই প্ল্যান্টে উৎপাদন করা যাবে ১.৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যা সোজাসুজি পৌঁছে দেওয়া যাবে রেলের ওভারহেড তারে। এছাড়াও পশ্চিম মধ্য রেলের জব্বলপুর ডিভিশনে ব্যাটারিতে চলা একটি লোকোমোটিভ ইঞ্জিন বানিয়েছে ভারতীয় রেল।
সুরক্ষার জন্য ড্রোনের ব্যবহারও শুরু করেছে ভারতীয় রেলের দক্ষিণ-পূর্ব শাখা। কোভিড আবহে যাতে নিরাপত্তায় কোনো ফাঁ-ক না থাকে তার জন্যেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রেল।এবার 13 লক্ষ কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর নিয়ে এসেছে ভারতীয় রেল। 13 লক্ষ কর্মচারীদের স্বাস্থ্য বীমা যোজনার মাধ্যমে তাদের সংযুক্ত করে তাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রটি বিস্তৃত করার চিন্তা ভাবনা করছে ভারতীয় রেল।
জানা গিয়েছে রিয়েল প্রথমে তাদের সমস্ত কর্মচারী এবং কর্মচারীদের পরিবারকে ‘রেলওয়ে কর্মচারী উদারকৃত যোজনা’ এবং ‘কেন্দ্রীয় কর্মচারী স্বাস্থ্যসেবা’র মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করত। রেল জানিয়েছে, রেলওয়ে কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা যোজনার সমস্ত ক্ষেত্রগুলোকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য একটি সমিতির পত্তন করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন প্রদানের জন্য রেল নতুন নিয়ম এনেছে।
এর জন্য একটি অ্যাপ গঠন করেছে ভারতীয় রেলওয়ে। এই অ্যাপের মাধ্যমে যেসব অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পেনশন ফাইল আটকে রয়েছে সেইসব পেনশন ফাইল কবে ক্লিয়ার হবে এবং কবে সেই অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী পেনশন পাবেন সেই বিষয়ক সমস্ত তথ্য প্রদান করা হবে।
এই অ্যাপটির নাম হল ‘সার্ভিস সিপিসি ৭ পিপিও।’ অবসরপ্রাপ্ত রেলওয়ে কর্মচারী রায় এই অ্যাপটি তাদের মোবাইলে ডাউনলোড করে রাখতে পারবেন। রেলওয়ে যে স্বাস্থ্য বীমা যোজনা পরিকল্পনা করছে , এর মাধ্যমে তারা কর্মচারীদের চিকিৎসা এবং সমস্ত আর্থিক ঝুঁ-কি থেকে তাঁদের উদ্ধার করার নিরিখে বীমা করানো হবে।