নিজস্ব প্রতিবেদন :-পাঠ্যবইয়ে আমরা প্রায় সকলেই পড়ে এসেছি গ্রিনহাউস গ্যাসের কথা ।গ্রীন হাউস গ্যাস পৃথিবীর বুকে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে ।ফলস্বরূপ ওজোন স্তরে ছে-দ, অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাব বৃদ্ধি ইত্যাদি আরো অনেক রকম ঘটনা ঘটে চলেছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। কিন্তু সব থেকে বড় এবং চিন্তার বিষয় যেটি, সেটি হলো এই গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাবে পৃথিবীর দুই মেরুর বরফ গলতে শুরু করেছে।যার ফলে বড়োসড়ো সুনামির সৃষ্টি হতে পারে ।
সূর্য থেকে আসা বিভিন্ন ক্ষতিকারক রশ্মি গুলি পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ার পর সে গুলি বায়ুমণ্ডল দাঁড়া প্র-তিহত হতে পুনরায় আবার মহাকাশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু যদি সেই পথে কোনো বাধা আসে তবে সেই ক্ষতিকারক রশ্মি গু
লি থেকে যায় পৃথিবীর বুকে। এবং সৃষ্টি করে বিভিন্ন রকমের সমস্যা । ১৭৫০ সালে শিল্প বিপ্লবের পর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বায়ুমন্ডলে প্রায় ৪০% কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসের বৃদ্ধি ঘটেছে ।যার ফলে বৃদ্ধি ঘটেছে গ্রিন হাউস গ্যাসের ।
কিন্তু সম্প্রতি নাসা একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যা সাধারণ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। করোনার মত এই প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে নাসার এই বিজ্ঞপ্তি রাতের ঘুম কেড়েছে অনেকেরই । নাসার ওই জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে যে পৃথিবীতে গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাবে দুই মেরুর বরফ হু হু করে গলছে । এর ফলে কি হতে পারে তা আমাদের সকলেরই জানা । একদিন পৃথিবী কে পড়তে হবে চরম সঙ্কটের মুখে।
সম্প্রতি নাসা জানিয়েছে যে ২০০০ থেকে ২১০০ সালের মধ্যে গ্রীনল্যান্ডের বরফ গলে সমুদ্রের জল স্তর ৮ থেকে ২৭ সেন্টিমিটার অবধি বাড়বে এবং এর সাথে সাথে আটলান্টিকার বরফ গলে সমুদ্র জল স্তর ৩ থেকে ২৮ সেন্টিমিটার অবধি বাড়বে । খুব অল্প সময়ের মধ্যে বেড়ে চলা সমুদ্র জল স্তর এক ভয়াবহ পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এই গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাবে যেমন বরফ গলছে ঠিক তেমনি পরিবর্তন হচ্ছে পৃথিবীর জলবায়ু যা মোটেও ভালো লক্ষণ নয় এমনটাই জানিয়েছেন নাসার বিশেষজ্ঞরা ।