কয়েক দিনের মধ্যেই ত্বক হবে দারুন ফর্সা এবং মসৃণ, শুধুমাত্র ব্যবহার করুন এই দুটি জিনিস

নিজস্ব প্রতিবেদন: একটা সময়ের পর কিন্তু আমাদের ত্বকের নানান ধরনের সমস্যা লক্ষ্য করা যায় যার মধ্যে অন্যতম হলো দাগ ছোপ এবং একটা কালচে ভাব। আবার বয়স বাড়লে অনেকের ক্ষেত্রেই এজিং এর সমস্যাও কিন্তু ত্বকে লক্ষ্য করা যায়। অনেকেই এই সমস্যাগুলো দূর করার জন্য নানান ধরনের নামিদামি ক্রিম এবং লোশন ব্যবহার করে থাকেন যা অনেক ক্ষেত্রেই কাজ করার বদলে উল্টে আমাদের ত্বকের আরো ক্ষতি করে।

আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা তাই পাঠক বন্ধুদের উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ ডিপ শেয়ার করে নিতে চলেছি। যার সাহায্যে সহজ কিছু উপকরণ ব্যবহার করেই আপনারা কিন্তু নিজেদের ত্বক সুন্দর মসৃণ আর ফর্সা করে তুলতে পারবেন অল্প সময়ের মধ্যেই। আজ আমরা বলব অ্যালোভেরা পাতার কথা। কম-বেশি আপনারা সকলেই কিন্তু রূপচর্চায় এই গাছটির ভূমিকা সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। চলুন এর কিছু বিশেষ দিক বা কাজ সম্পর্কে আজ আমরা আপনাদের জানাই।

১) একেবারে ফর্সা এবং মসৃণ ত্বক পেতে চাইলে প্রথমেই আপনাদের বেশ কয়েকটি এলোভেরা পাতা নিয়ে নিতে হবে এবং এর ঠিক মাথার অংশ থেকে যে হলুদ কষ বেরোয় সেটাকে প্রথমেই মুছে নিতে হবে। তারপর পাতাটাকে জলের মধ্যে ১০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখবেন। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে এই জলে ভিজিয়ে রাখলে কিন্তু আর কোন অসুবিধা হবে না। তবে যদি আপনাদের খুব বেশি অ্যালার্জি‌ জনিত সমস্যা থাকে তাহলে এটা ব্যবহার না করাই ভালো। এবার পাতার উপরের আস্তরণটাকে সরিয়ে একটা চিরুনি ব্যবহার করে এলোভেরা জেল তাকে আপনাদের বেশ কিছুক্ষণ ঘষে বাইরে বের করে নিয়ে আসতে হবে।

২) এবার জেলটা বের করে নিয়ে আসার পর সেটাকে একটা বাটির মধ্যে সংগ্রহ করুন এবং তাতে ২ চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে দিন। কাঁচা দুধ স্কিন হোয়াইটনিং এবং মশ্চারাইজিং এর কাজ করবে। যাদের খুব বেশি শুষ্ক বা ফ্যাকাসে ত্বক রয়েছে তাদের এটা ঠিক হয়ে যাবে দুধের ব্যবহারে।

৩) এবার এলোভেরা আর দুধের মিশ্রণটাকে ভালোভাবে সার্কুলার মোশানে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গোটা ফেসে আপনাদের ভালোভাবে লাগাতে হবে। চাইলে আপনারা এটাই কিন্তু গলায় বা হাতেও ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণের ব্যবহারে আপনাদের ত্বক যেমন মসৃণ হয়ে উঠবে ঠিক তেমনভাবেই দিন প্রতিদিন এর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। বেশ কিছুক্ষণ এই প্যাকটাকে আপনাদের ত্বকে লাগিয়ে রাখার পর মোটামুটি শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। অন্ততপক্ষে টানা ৭ দিন এটাকে ট্রাই করে দেখুন ফলাফল নিজেরাই বুঝতে পারবেন।।

Leave a Comment