




নিজস্ব প্রতিবেদন:-উত্তরপ্রদেশের হাথ্রাস এর কান্ড কে নিয়ে ইতিমধ্যে উত্তাল গোটা দেশ । তার মধ্যে ঘটনাচক্রে বারবার প্রশ্ন উঠেছে উত্তরপ্রদেশের প্রশাসনের বিরুদ্ধে । ঐদিন পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিড়লা তারামণ্ডল থেকে একটি বিক্ষোভ পথসভার আয়োজন করেন । দীর্ঘ চার কিলোমিটার এর প্রতিবাদ মিছিলে পায়ে হেটে সামিল হয়েছিলেন তিনি । হাতে ছিল টর্চ এবং তার সাথে সাথে তীব্র নিন্দা করেছে উত্তরপ্রদেশের সরকারের ।





আমরা জানি ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের হাতরাস এ নি-র্যা-তি-তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তৃণমূল প্রতিনিধি দল। সে প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন । কিন্তু গ্রামের কিছুটা আগেই পুলিশের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয় । এবং হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কিতে ডেরেক ও’ব্রায়েন পড়ে যায়। এই ঘটনাকে মোটেও ভাল চোখে নেন নি শাসক দল । তার ঠিক একদিন পরেই প্রতিবাদে মিছিল থেকে বিজেপি এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন যে আমাদের “এভাবে কতদিন আটকে রাখবে । আজ না হোক কাল কাল না পরশু একদিন না একদিন আমিও নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আসবো ” এর পাশাপাশি দেবীপক্ষ শুরু হওয়ার ৭ দিন আগে পর্যন্ত বিভিন্ন সংখ্যালঘু তপশীল জাতি গুলোর কাছে গিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের এই ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করবে । এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। ব্যানার্জী।





কিন্তু ঘাসফুলে শিবিরের এই বক্তব্যকে মোটেও ঠিক মতো দেখছেনা গেরুয়া শিবির । এই প্রসঙ্গে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন ” যে ওনার গায়ে কামদুনির ছাপ লেগে আছে । ছাপ আছে পার্ক স্ট্রিটের ” তিনি বলেছেন বাংলায় যখন পার্কস্ট্রিটে গণধর্ষণ হলো তখন তিনি বলেছিলেন একটি সাজানো ঘটনা ।
তার মুখে অন্তত এই প্রতিবাদী মিছিল কথাটা মানায় না “। এর পাশাপাশি বাবুল সুপ্রিয় এবং লকেট চ্যাটার্জির তীব্র নিন্দা করেছেন ঠিকই কিন্তু শাসক দলের একাংশের মত যে মানুষ ইতিমধ্যে বুঝে গেছে যে বাংলায় বিজেপি এলে বাংলা উত্তর প্রদেশ হতে বেশিদিন সময় লাগবে না । মানুষ জানে কোনটা ভালো কোনটা ঠিক ।




