নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রেমিকার বাড়ীতে ধর্না ও বিবাহ সমাপন- এরই মাধ্যমে অনেকদিন আগেই দৃষ্টান্ত গড়েছিলেন ধূপগুড়ির বাসিন্দা অনন্ত বর্মন। ঠিক একই কায়দায় আবার এক ধর্না বিয়ের ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়ি জেলায়। তবে এবার প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার আগমন, এবং ধর্নার ছত্রিশ ঘন্টা পর যবনিকা পতন।
খবর অনুযায়ী, 2017 সাল থেকেই মিলপাড়ার সমীর সাহা এবং খট্টিমারির অঞ্জনা রায়, দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সেই সম্পর্ক বিগত তিন বছরে আরো গভীর হয়ে ওঠে অঞ্জনা রায়ের বক্তব্য, সম্পর্কটি তিন বছরের পুরোনো হলেও কিছুদিন যাবৎ সমীর সাহা তার ফোন আর ধরছিলেন না, এমনকি তাদের সম্পর্কও অস্বীকার করছিলেন।
এই অবস্থায় বাধ্য হয়েই শুক্রবার সকালে মিলপাড়ায় অবস্থিত সমীর সাহার বাড়িতে হাজির হন অঞ্জনা রায় । বাড়িতে ঢোকার অনুমতি না পাওয়ায়, সমীরের বাড়ির গেটে প্রায় 36 ঘন্টা ধরে ধর্না চালিয়ে যান তিনি। এরইমধ্যে ওই এলাকার কিছু মানুষের সমর্থনও পান অঞ্জনা । কিন্তু,এত ঘটনার পরেও বিয়ে করতে চাননি ওই যুবক।
শেষ পর্যন্ত,শনিবার সন্ধ্যায় অঞ্জনার বাড়ির এলাকার লোকজনের সঙ্গে কৌতুহলী মানুষের ভিড়, অঞ্জনার জেদের সামনে সমর্পণ করেন ওই যুবক । সমীর সাহা বিয়েতে রাজি হওয়ার,পরে ওই বাড়িতেই অঞ্জনা ও সমীরের বিয়ে দেওয়া হয়।
টানটান উত্তেজনা পূর্ণ নাটকীয় মুহূর্তের সাক্ষী হতে,ওই যুবকের বাড়িতে সেদিন রাতে ধীরে ধীরে ভিড় জমতে থাকে কয়েকশত লোকের। বলাই বাহুল্য , করোনার প্র-কো-প চলাকালীন এমন জনসমাগম উদ্বেগজনক। কিন্ত, ধর্না থেকে বিয়ের পিঁড়িতে বসার রোমাঞ্চকর মূহুর্তের টান উপেক্ষা করতে পারেননি অনেকেই।