নিজস্ব প্রতিবেদন :-গত ২০ মে রাজ্যের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল বি-ধ্বং-সী ঝড় আম্ফান । তারপরে করোনার মতন ভয়াবহ পরিস্থিতি। দুই মিলিয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছিল রাজ্য । এই আম্ফান ক্ষ-তি করেছিল বহু সাধারণ মানুষের। তার সাথে সাথে ঘরছাড়া করেছিল লক্ষ লক্ষ মানুষের ।





শুধুমাত্র ঘরছাড়া নয় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতি হয়েছিল অনেক সম্পত্তি। বড় বড় গাছ উপরে পড়েছিল। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন অনেকে। তবে সেই রেস কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের আরও একবার বড়োসড়ো ঝড়ের সম্মুখীন হতে চলেছে রাজ্য। এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
বেশ কিছুদিন আগে আলিপুর আওয়া দপ্তর খবর অনুসারে উত্তরবঙ্গে হয়েছিল ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি । কোচবিহার দার্জিলিং জলপাইগুড়ি কালিম্পং জেলা তে তে হয়েছিল অতি ভারী বৃষ্টি । কোথাও কোথাও আবার নেমেছিলো ধস । জারি করা হয়েছিল সতর্কবার্তা । তবে এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গ বৃষ্টির হাত থেকে মুক্তি পেলেও মুক্তি পাচ্ছে না দক্ষিণ বঙ্গ ।





পুজোর আগেই রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে আরো একবার বিধ্বংসী ঝড়” গতি” ।পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরেই এই ঘূর্ণিঝড়ের অশনি সংকেত দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর।সোমবার সকালে আরও শক্তিশালী রূপ নিয়ে অন্ধপ্রদেশ উপকূল দিয়ে প্রবেশ করবে সে রাজ্যে । থাকবে ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হওয়া তার সাথে ভারী বৃষ্টিপাত।
ইতিমধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কবার্তা । মৎস্যজীবীদের সমুদ্র উপকূল এ যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ।আন্দামান সাগর থেকে এই নিম্নচাপ এখন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এ অবস্থান করছে। শক্তি সঞ্চয় করে এটি উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে ।





এবার সেই ঘূর্ণিঝড় রীতিমতো চোখ রাঙাচ্ছে । শক্তি সঞ্চয় করে বড় হয়ে উঠছে ক্রমশ । তবে রাজ্যবাসীর জন্য আছে সুখবর ও । এর প্রভাব বাংলাতে ততটা পড়বে না তবে বাংলাতে না পড়লেও ওড়িশা অন্ধ্রপ্রদেশ তেলেঙ্গানা কর্ণাটক মহারাষ্ট্রে এর প্রভাব প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি কলকাতার আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা । মাঝে মাঝে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই ঝড়ের কিছুটা প্রভাব আন্দাজ করবে রাজ্যবাসী ।




