কিভাবে পালন করবেন মহা শিবরাত্রি ব্রত? তিথি, নিয়ম সহ জেনে নিন বিস্তারিত

নিজস্ব প্রতিবেদন: শনিবার অর্থাৎ আগামী ১৮ই ফেব্রুয়ারি চলতি বছরের মহা শিবরাত্রি পালিত হতে চলেছে দেশজুড়ে। নারী পুরুষ নির্বিশেষে অনেকেই কিন্তু এই ব্রত পালনে অংশগ্রহণ করে থাকেন। বিভিন্ন হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী এই দিন দেবী পার্বতী এবং দেবাদিদেব মহাদেব বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।

তাই কোন মানুষ যদি নিষ্ঠা ভরে এই পুণ্য তিথি পালন করেন তাহলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।এদিন মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করলে শক্তি বাড়ে। নির্দিষ্ট কিছু আচার-রীতি মেনেই এই বিশেষ দিনে হর-পার্বতীর পুজো করতে হয়। অনেকেই আছেন যারা এই বিশেষ নিয়ম গুলো জানেন না। তাই আমরা নিয়ে চলে এসেছি আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

শাস্ত্র অনুযায়ী শিবরাত্রির দিন সকাল থেকে উপোস করে ঠিক পরের দিন সকালে উপবাস ভঙ্গ করতে হয় ভক্তকে। তবে উপবাসে থাকা ব্যক্তি দুধ ফল প্রভৃতি খেতে পারেন। কিন্তু এই সমস্ত খাবার সূর্যাস্তের আগে খেতে হবে।পরের দিন পুজোর প্রসাদ খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করতে হয়। কথিত আছে, শিবরাত্রির দিন গঙ্গাস্নান করলে সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়।

মহা শিবরাত্রিতে চার প্রহর ধরে দেবাদিদেব মহাদেবের পূজা করা হয়ে থাকে। প্রথম প্রহরে পুজো হয় জল দিয়ে, দ্বিতীয় প্রহরে দই দিয়ে, তৃতীয় প্রহরে ঘি এবং শেষ প্রহরে মধু দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করতে হয়।।শিবের পুজোয় অপরাজিতা, ধুতরো, আকন্দ ফুল এবং বেল পাতা অবশ্যি এদিন আপনাকে ব্যবহার করতে হবে।

নিষ্ঠা ভরে এই সমস্ত ফুল মহাদেব কে অর্পণ করলে তিনি সন্তুষ্ট হন।পুজো শেষ হলে মহাদেবের ১০৮টি নাম যোগ করতে হয়। তবে বর্তমানে অনেকেই ব্যস্ততার জন্য এবং স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এভাবে ব্রতী পালন করতে পারেন না। প্রায় একটা গোটা দিন উপবাস করা এবং সারারাত জেগে থাকা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত উপবাস করলেও হয়।

সকাল থেকে সন্ধ্যে সেক্ষেত্রে উপবাস করার পরে,স্নান করে শুদ্ধ বসনে সন্ধেয় শিবলিঙ্গে জল ও বেল পাতা নিবেদন করে পুজো করতে হয়। এরপর পুজোর প্রসাদ গ্রহণ শেষে আপনারা উপবাস ভঙ্গ করে দিতে পারেন।। কর্মব্যস্ত জীবনে আজকাল অনেকেই কিন্তু শাস্ত্র মেনে এই পদ্ধতি পালন করে থাকেন।। আপনাদের মধ্যে যাদের দুই দিন ধরে উপবাস রাখা সম্ভব নয়, তারাও কিন্তু এই পদ্ধতিতেই মহা শিবরাত্রি পালন করে পূণ্য অর্জনের ভাগী হতে পারেন।

Leave a Comment