দফায় দফায় জেরার পর্ব চলার পর অবশেষে এনসিবি রিয়া চক্রবর্তী কে গ্রেপ্তার করলো। এদিন রাতে তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে জামিনের আর্জি জানালে ,তা খারিজ করে দেন প্রধান বিচারক।
সেদিন রাত টুকু এনসিবি দপ্তরে কাটান তিনি। তদন্তকারী দের আর্জি মেনে রিয়াকে 14 দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের পাঠানো হয়।
আজ সকালে তাকে বাইকুল্লা জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।সূত্রের খবর, এক দফা জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে গতকাল । নতুন করে আবার রিয়া চক্রবর্তীর জামিনের আর্জি পত্র জমা দিয়েছিলেন তার আইনজীবী ; কিন্তু এবার তাও খারিজ করে দিলেন আদালত। আগামী দুই সপ্তাহ বাইকুল্লা জেলে রাখা হবে রিয়াকে এমনই শোনা যাচ্ছে।রিয়া, সৌভিক, স্যামুয়েল এবং দীপেশ কে 9 সেপ্টেম্বর কোর্ট এ তোলার কথা ছিল।
সম্প্রতি সুশান্ত সিং রাজপুত হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ড্রাগের সন্ধান পেয়েছেন এনসিবি। এরপর দফায় দফায় ম্যারাথন জেরা করা হয় রিয়া চক্রবর্তী স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং সৌভিক চক্রবর্তী কে, এবং তাতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্যএদিন রিয়ার ভাই নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে ,তিনি তার দিদির কথা তেই ড্রাগ আনতেন সুশান্তের জন্য।
সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে আসতেই ড্রাগ সম্পর্কিত পর্দা ফাঁস করলেন এনসিবি। টানা তিনদিন জেরা করার পর রিয়া চক্রবর্তী স্বীকার করেছেন যে তিনি ড্রাগ চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে রিয়ার মেডিকেল টেস্ট হওয়ার পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় এনসিবি দপ্তরে।আদালতে এনসিবির তরফ থেকে যে সমস্ত কাগজপত্র জমা দেয়া হয়েছিল তাতে যদিও রিয়া মাদকাসক্ত বলে কোথাও কোনো রকম কোনো উল্লেখ নেই।
রিয়ার বিরুদ্ধে মাদক কেনা ও সুশান্তকে সরবরাহ করার অভিযোগ যদি সত্য প্রমাণিত হয় সে ক্ষেত্রে 10 বছর পর্যন্ত জেল পারে রিয়া চক্রবর্তীর।বিভিন্ন মাধ্যমের সূত্রে জানা গিয়েছে মাদক বিক্রেতাদের সঙ্গে তাদের সরাসরি যোগাযোগ ছিল। মাদক সিন্ডিকেটের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন রিয়া চক্রবর্তী নিজেই।
কবে ,কখন, কোথায় ডেলিভারী হচ্ছে এবং সেক্ষেত্রে কত খরচ পরছে ,এসব কিছুর হিসাব রাখতে রিয়া নিজেই।এনসিবিরজেরায় স্যামুয়েল এবং দীপেশ জানিয়েছেন রিয়া এবং সুশান্ত দুজনেই মাদক কেনার খরচ যোগাতেন, অন্যদিকে মাদক সরবরাহের দিকটা সুশান্ত নিজেই সামলাতে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীদের কাছে।