রোমাঞ্চকর চরিত্র হোক বা কমেডি ,খেলোয়াড়ের চরিত্র হোক বা ছাত্র এই সব কিছুতেই নিজেকে সঠিকভাবে খাপ খাইয়ে নিতে খাইয়ে নিতে পারেন এমন একজন বলিউডের অভিনেতা যাকে অনেকে “মিস্টার পারফেক্ট” নামে চেনেন। হ্যাঁ ! ঠিক ধরেছেন বলিউড অভিনেতা আমির খান এর কথা এখানে বলা হচ্ছে।
দীর্ঘ সময় ধরে তিনি যুক্ত আছেন বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ।দর্শকদের দিয়েছিলেন একের পর এক হিট ছবি । “থ্রি ইডিয়টস” নামক ছবিটি ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছিল দর্শক মহলে। তারপরে আর কোন দিকে তাকাতে হয়নি এই অভিনেতা কে ।
কিন্তু তার এই মিস্টার পারফেক্ট কথাটা বাস্তব জীবনের সাথে ঠিক কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ সেই বিষয় নিয়ে নিয়ে বিষয় নিয়ে নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন এই অভিনেতা। একাধিক বৈবাহিক সম্পর্ক এবং বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে সম্পর্কের কথা এবার প্রকাশ্যে এসেছে ।প্রকাশ্যে এসেছে অবৈধ সন্তানের কথা।
তখন সালটা ১৯৯৮। গোলাম ছবির শুটিং চলছে শুটিং সেট আলাপ হয় এক ব্রিটিশ লেখিকার সাথে, নাম জেসিকা হাইনস। শুরু হয় প্রেম, ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। সেখান থেকেই শুরু হয় শারীরিক সম্পর্ক ব্রিটিশ লেখিকা সাথে । প্রেমের মাত্রা এতটাই ছিলো যে তারা পরস্পর শারীরিক বন্ধনে লিপ্ত হয় । তারপর ই ঘটে সেই অপ্রত্যাশিত ঘটনা । জেসিকা জানান যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা ।
কিন্তু ততদিনে আমির খান বিবাহিত অন্য একজনের সাথে । ফল স্বরূপ মাথায় রীতিমতো আকাশ ভেঙে পড়ে তার । কোনো মতেই সে সন্তান স্বীকার করতে চাইনি তিনি । তাই জেসিকা কে দুটো বিকল্প উপায় বলেন আমির । এক সন্তানটিকে নষ্ট করে দেওয়া আর দুই আমির কে ভুলে যাওয়া । কিন্তু জেসিকা এতটাই আবেগপ্রবণ ছিলো যে তিনি দ্বিতীয় পথটি বেছে নেন । নিজের দেশে গিয়ে জন্ম দেয় জ্যান হ্যারির । এমনি দাবি করেন জেসিকা।
শুধু যে এখানেই আমির খান থেমে আছেন টা নয় । আরো একটি কীর্তি আছে এই মিস্টার পারফেক্ট এর । লাগান ছবির শুটিং এর সময় ফের প্রেমে লিপ্ত হন এই অভিনেতা । কিরণ রাওয়ের সাথে একসাথে থাকার পরিকল্পনা শুরু করেন তিনি । কাজেই ছবির মুক্তির পর ই স্ত্রী রিনার সাথে বিচ্ছেদ করে জমিয়ে ঘর সংসার এ মন দেয় এই অভিনেতা ।