




নিজস্ব সংবাদদাতা: আগামী বছর বিধানসভা ভোটের জন্য পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি সরগরম। আগামী ভোটের জন্য পশ্চিমবঙ্গে রীতিমতো কোমর বেঁধে লড়াইয়ে নামছে রাজ্য বিজেপি । বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে টক্কর দেওয়া নিয়ে রাজ্য বিজেপি মরিয়া। তবে সেই রাজনীতির লড়াইতে হঠাৎ তাল কাটলো বিজেপির।





বিগত 40 বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি দলে সর্বক্ষণের সৈনিক রাহুল সিনহা। তবে কিছুদিন আগেই রাজ্য বিজেপির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল রাহুল সিনহাকে।এই ঘটনায় নিজের মন্তব্য জানিয়েছেন মুকুল রায়। রাহুল সিনহাকে বাংলার মূখ হিসেবে দাবি করেন মুকুল রায়। ঠিক সেই সুরেই সুর মেলালেন সায়ন্তন বসু। তিনি মালবাজার মহকুমার লাটাগুড়িতে বিজেপির জেলা কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছেন রবিবার।
সেখানেই রাহুল সিনহার ব্যাপারে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানান,”রাহুল সিনহা বিজেপিতে দলের মুখ। ছোটবেলা থেকেই রাহুলদাকে দেখে এসেছি। রাহুলদা নেতা ছিলেন। আছেন এবং থাকবেন।রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুকুল রায়ের মতো রাহুলদাও দলের মুখ।”





তিনি জানান,”বিজেপিতে তাজা র’ক্তে’র প্রয়োজন আছে। আগে অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে দলে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কখনও মুরলী মনোহর যোশী, নীতীন গডকড়িরা নেতৃত্বে এসেছেন। এখন জেপি নাড্ডা আছেন। রাহুলদার পদ গেল কি গেল না তাতে কিছু আসে যায় না। তাতে রাহুলদার গুরুত্বের অভাব হয়নি। একটা দল হিসেবে সকলে কাজ করছি। বাংলার মুখ রাহুলদাই।”
রাহুল সিনহার অপসারণের পর সেই পদে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা বলেন,”রাহুলদার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল। আমি পদ দেওয়ার মালিক নই।বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি গণতান্ত্রিকভাবে আলোচনা করে পদ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে রাহুলদা একটু মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। কয়েকদিনের মধ্যে একটা চায়ের আড্ডা জমলে পুরো ব্যাপার সামনে আসবে। রাহুলদার সঙ্গে কলকাতাতে আসলেই দেখা হয়, যদি কোনও চায়ের আড্ডা হয় তবে বসব।”




