করোনার আবহে ভারত তথা সারা বিশ্বে মৃ-ত্যুর একটা কালো ছায়া ঘনিয়ে এসেছে। আমেরিকা, রাশিয়া, ভারত, ব্রাজিল, পাকিস্তান, বাংলাদেশ প্রভৃতি সহ আরো অন্যান্য দেশে করোনা দাপিয়ে স-ন্ত্রা-স চালাচ্ছে। সকলেই মৃ-ত্যুর আ-ত-ঙ্কে প্রহর গুনছেন। কবে সমস্ত কিছু স্বাভাবিক হবে সেই আশায় দিন গুনছেন সকলেই। এক লহমায় সমস্ত চেনা পরিচিত চিত্রগুলোকে পাল্টে দিয়েছে এই মা-র-ণ রোগ। ভারতে মহারাষ্ট্রের মধ্যে করোনার প্র-কো-প সবথেকে বেশি দাঁড়িয়েছে।
রাশিয়া করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটও খুব শীঘ্রই ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলবে বলে জানিয়েছে। অবশেষে একটু আশার আলো দেখছে বিশ্ববাসী।ভারতের মধ্যে মহারাষ্ট্রের অবস্থা হল সবথেকে খারাপ। ভারতের প্রত্যেকটি রাজ্যের কমবেশি করোনার গ্রাসে পড়েছে। কিন্তু এখনো ভারতের একটি রাজ্য রয়েছে যার টিকিটিও ছুঁতে পারেনি করোনা। করোনা সচেতনতার নিরিখে ভারতের এই রাজ্যটি এক অন্যতম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সারা পৃথিবীর মধ্যে।
তবে এই দীর্ঘ ছয় মাস যাবৎ এই রাজ্য পুরোপুরি করোনা মুক্ত থাকার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা কে অবশ্যই প্রশংসা করা উচিত। এই রাজ্যটি হল একটি দ্বীপপুঞ্জ যা 36 টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত হয়েছে। এই দ্বীপপুঞ্জের মোট আয়তন 32 বর্গ কিলোমিটার। উপকূলীয় শহর কচি থেকে 220 থেকে 440 কিলোমিটার দূরে এই দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত। কেরালার কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ার দরুন কেন্দ্রশাসিত রাজ্য প্রথম থেকেই করা ভূমিকা গ্রহণ করেছিল করোনাকে দূরে রাখার জন্য।
ফেব্রুয়ারি মাসের 1 তারিখ থেকেই রাজ্যে কঠোরভাবে মানতে হচ্ছিল স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত বিধি-নিষেধ। জানা গিয়েছে এই রাজ্যে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আগত বিমান যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। এই রাজ্যে কেউ আসতে চাইলে তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল আগে 14 দিন কোচিতে থাকতে হবে, তারপর তাদের এই রাজ্যে প্রবেশ করলেও 14 দিন কোয়ারান্টাইনে যেতে হবে।
যার জন্যই এই কঠোর হস্তক্ষেপ নেওয়ার ফলে এখনো পর্যন্ত ভারতের এই সুন্দর প্রাকৃতিক বৈচিত্র সম্পন্ন রাজ্যটি করোনা কে দূরে রেখেছে। এই রাজ্যটি হল লাক্ষাদ্বীপ। নীল চলরাশির মধ্যে এক অনন্য সুন্দর এই রাজ্য করোনাকে দূরে রাখার নিরিখে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।