নিজস্ব সংবাদদাতা: বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে ফের হা-ঙ্গা-মা হলো বিজেপির দলীয় কর্মী এবং পুলিসের মাঝে। সেই মিছিল চলাকালীন আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার করা হয় একজনকে। বলবিন্দর সিং নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে এই গ্রেপ্তারিকে কেন্দ্র করে শাসকদলের সঙ্গে বিজেপির ভীষণ টানাপোড়েন চলছে।





এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে বলা হলে রীতিমতো বি-স্ফো-রক ভাষায় আ-ক্র-মণ করেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, “আমাদের প্রিয়াংশু পাণ্ডের দেহরক্ষী বলবিন্দর সিং। দেহরক্ষীকে কোনও কেস দেওয়া বা গ্রেপ্তার করার আইন নেই। তাকে যেভাবে পুলিশ মেরেছে তা নিন্দনীয়। আমি চ্যালেঞ্জ করছি পুলিশকে যদি গোল টুপি মাথায় থাকত তবে মারতে পারত?”
ওই দেহরক্ষী একজন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। এই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, “একজন শিখ বলে পাগড়ি খুলে দিয়েছে। যারা বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত তাদের লাথি খেয়ে শান্তিমিছিল করে। আমরা আইন মানি বলেই এসব হচ্ছে। এসব অগণতান্ত্রিক এবং তোষণের রাজনীতি।”





রাজনৈতিক মহলের অভিমত, বলবিন্দর সিংয়ের গ্রে-প্তা-রিকে সুচতুর ভাবে ঘুরিয়ে দিয়ে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতিই করছেন দিলীপ ঘোষ। তবে দিলীপ ঘোষ ছাড়াও অনেকেই বলবিন্দর ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টুইট করে হরভজন সিং বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ করেছেন। অন্যদিকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং নিজের ক্ষোভপ্রকাশ করেন এই ঘটনায়।
সাত দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার বিজেপির পক্ষ থেকে নবান্ন অভিযান করার কথা ছিল। দিনভর থাকার পরেও তাদের মিছিল নবান্নে পৌঁছতে পারেনি। হাওড়া ময়দানের মিছিলে বলবিন্দর সিংএর পিছু নেয় পুলিশ। তিনি রাস্তায় পড়ে গেলে তাকে গ্রে-প্তা-র করার পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।





আ-গ্নেয়া-স্ত্রে-র লাইসেন্স রয়েছে- রাজ্য বিজেপির তরফে এই বয়ান দেওয়া হলেও, হাওড়া সিটি পুলিশের জানিয়েছে, উদ্ধার করা ওই বন্দুকটি লাইসেন্স পাশ করেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরির জেলাশাসক, এবং আগ্নেয়াস্ত্রটি জেলার বাইরে নেওয়ার কোনরূপ আইন নেই।




