বর্তমানে সাপ্তাহিক লকডাউন জারি রয়েছে বাংলায়। ক’রোনার ভ’য়াব’হ গ্রা’স থেকে র’ক্ষা পেতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে সা’প্তাহি’ক লকডাউন এর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এবং আজ শুক্রবার দুদিন লকডাউন চলছে। কিন্তু রাজ্যের বুকে এই ক’রোনা পরিস্থিতিতে চূ’ড়ান্ত বি’শৃঙ্খ’লার ছবি লক্ষিত হচ্ছে। এবার এক অ্যা’ম্বুলেন্স চালক এর রোগীর থেকে ৯০০০ টাকা নেওয়ার অ’ভিযোগ উঠেছে।জানা গিয়েছে দিন দশেক আগেই হাওড়ার বাসিন্দা হরিওম আগারওয়ালের সে’রিব্রা’ল স্ট্রো’ক ধরা পড়েছিল।
সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে ভর্তি করার পর দেখা যায় তিনি ক’রোনা পজিটিভ। বিপু’ল টাকা খরচ হয়ে গিয়েছিল তাঁর ভে’ন্টি’লেশনে থাকার সময়। তাই ওই হাসপাতাল থেকে রাজ্যের অন্যতম কো’ভিড হাসপাতাল কলকাতা মেডিকেল কলেজে ওই বৃদ্ধ কে স্থানান্তরিত করতে চান তাঁর পরিবার।কিন্তু সকাল থেকে অ্যা’ম্বুলে’ন্স খুঁজলেও ল’কডা’উন এর কারণে কোন গাড়ি পাওয়া যায়নি উপরন্তু অনেক অ্যা’ম্বুলে’ন্স চালক ক’রোনা রোগী শুনেই ফোন কেটে দিয়েছেন।
এরপর একজন অ্যা’ম্বুলেন্স চালক রাজি হয় কিন্তু সে নয় হাজার টাকা দাবি করে বৃদ্ধের মেয়ে মমতা আগারওয়াল এর কাছ থেকে। কোথাও গাড়ি না পাওয়ায় ওই টাকাতেই রাজি হয়ে যান বৃদ্ধের অ’সহায় মেয়ে। সল্টলেকের ওই বেসরকারি হসপিটাল থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।এইটুকু দূরত্বে অ্যা’ম্বুলেন্স চালক কিভাবে নয় হাজার টাকা দাবি করেন তা ধারণার বাইরে। ক’রোনা পরিস্থিতিতেও কিছু মানুষের মনু’ষ্যত্ববোধ সেই আ’বর্জনার মধ্যেই রয়ে গিয়েছে।
এই বৃদ্ধের কন্যা মমতা জানিয়েছেন, “অ্যা’ম্বুলেন্স চালক কে ৬০০০ টাকা অগ্রিম দেয়া হয়েছিল তারপর তাকে বলা হয়েছিল বাকি টাকা মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছানোর পরেই দেওয়া হবে। কিন্তু ওই অ্যা’ম্বুলেন্স চালক মেডিকেল কলেজে পৌছানোর পর এক মুহূর্তও দাঁড়াননি।বাকি তিন হাজার টাকা নিয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে চলে যান। বাবাকে কার্যত মাটিতে নামিয়ে রেখেই তিনি চ’ম্পট দেন। তাকে আমরা অনুরোধ করি যে আপনি পি’পিই কিট পরে রয়েছেন, একবার এমা’র্জে’ন্সি ওয়া’র্ড অবধি পৌঁছে দিন।
কিন্তু তিনি বলেন যে কো’ভিড হাস’পাতালে আমি এক মুহুর্ত দাঁড়াতে পারবো না। সরকার কি কোন ব্যব’স্থা এদের বি’রুদ্ধে নিতে পারবে না? আমাদের মত অনেক অস’হায় পরিবার রয়েছে নানা জায়গায়।সরকার যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে এই বি’শৃঙ্খলা আরো ছড়িয়ে পড়বে চারদিকে।”অ্যা’ম্বুলেন্স চালক এর বক্তব্য হল, “আমি শুধুমাত্র গাড়ির চালক, ওই রোগীর পরিবারের সাথে গাড়ির মালিকের টাকা নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে।” প্রসঙ্গত, ক’রোনা আ-ব-হে এবং এছাড়াও নানান পরিস্থিতিতে অ্যা’ম্বুলেন্স চালক এর হৃ’দয়হী’নতার দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়েছে বাংলার বুকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রশাসন কোনো উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।