এই পদ্ধতিতে টবে চাষ করে নিন আঙ্গুর, অল্প সময়ের মধ্যেই আসবে দারুণ ফলন

নিজস্ব প্রতিবেদন: গ্রীষ্মকালের একটি অন্যতম সুমিষ্ট ফলের মধ্যে রয়েছে আঙ্গুর। কমবেশি আপনারা হয়তো অনেকেই আঙ্গুর খেতে খুবই ভালোবাসেন। আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে বাড়িতে কিভাবে টবে আঙ্গুর ফল চাষ করা যেতে পারে সেই প্রসঙ্গে একটা বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। আপনাদের মধ্যে যারা বাগান প্রেমী মানুষ রয়েছেন এবং বাড়িতে টবে আঙ্গুর চাষ করতে চান ভুল করেও কিন্তু এই প্রতিবেদনটা মিস করবেন না। কারণ বিশেষ পরিচর্যা পদ্ধতি যদি আপনারা না জানেন তাহলে সমস্যা হতে পারে।

টবে আঙ্গুর চাষের স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি:

আঙ্গুর চাষ করার জন্য প্রথমেই একটা ১০ ইঞ্চির টব নিয়ে নিন। এবার বেলে মাটির সঙ্গে কিছুটা পরিমাণ জৈব সার মিশিয়ে নেবেন। সঙ্গে আপনারা কাকড় আর ধানের তুষও ব্যবহার করতে পারেন। মনে রাখবেন আঙ্গুর গাছের জন্য যেহেতু মাচা তৈরি করতে হয় তাই অবশ্যই ১০ ইঞ্চির টব নিলেই কিন্তু এটা তৈরি করা সহজ হবে। মাটি তৈরি করার পরে আপনাকে যত্ন সহকারে আঙ্গুরের চারা রোপন করে দিতে হবে।

যেকোনো নার্সারি থেকেই উন্নত মানের চারা আপনারা পেয়ে যাবেন সহজে। চারা রোপন করার পর ভালোভাবে জল প্রয়োগ করে দেবেন। কিছুদিনের মধ্যেই কিন্তু গাছ থেকে লতাপাতা বের হয়ে যাবে। গাছ যেন ওপরের দিকে ওঠে তাই একটা কাঠি পুঁতে দিতে হবে। মোটামুটি শীতের শেষ দিকে আঙুর গাছে প্রচুর পরিমাণে নতুন পাতা লক্ষ্য করা যায়। আঙ্গুর গাছ রোপন করার জন্য সবথেকে সেরা সময় হচ্ছে জুন থেকে জুলাই মাস।

আঙ্গুর গাছের ক্ষেত্রে যেটা সবথেকে বড় সমস্যা তা হল আগাছা জন্মানো। তাই অবশ্যই কিন্তু আপনাদের এটা পরিষ্কার করতে হবে। গাছ একটু বড় হতে শুরু করলে আপনাদের সঠিকভাবে জল আর খাবার প্রয়োগ করতে হবে। এই সময় কিন্তু আপনাদের গাছগুলোকে আবার অন্য টবে প্রতিস্থাপন করতে হবে।

তবে যদি প্রথমেই 10 ইঞ্চির টবে প্রতিস্থাপন করে থাকেন সেক্ষেত্রে আর এটা করার প্রয়োজন নেই। এবার আসা যাক গাছের সার প্রয়োগের কথায়। মাসে একবার যদি আপনারা সার প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে সব থেকে বেশি ভালো হয়। এর মধ্যে জৈব সার অন্যতম। তবে গাছের বৃদ্ধির জন্য কিছু রাসায়নিক সার ও কিন্তু দেওয়া যেতে পারে। প্রথম মাসে আপনারা জৈব সারের সাথে এনপিকে সার প্রয়োগ করতে পারেন। গাছের পাতা ঝরা অর্থাৎ ডর্মেন্সিং পিরিয়ডের আগে কিন্তু অবশ্যই আপনাকে পটাশ সার প্রয়োগ করতে হবে।

১০ ইঞ্চি পাত্রের জন্য এক চা চামচ পটাশ ব্যবহার করবেন। সঠিকভাবে মাচা তৈরি করতে পারলে মোটামুটি কয়েক দিনের মধ্যেই কিন্তু গাছে ফুল চলে আসবে এবং গাছ বড় হয়ে যাবে। নিজেদের বাগানের অভিজ্ঞতা আমাদের অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানাতে ভুলবেন না।

Leave a Comment