নিজস্ব প্রতিবেদন :-শা-স-ক দল যখন আছে তখন থাকবে তার বিরোধী ও । এটা খুব স্বাভাবিক । কাজেই বছরের প্রায় সব সময় চলতে থাকে প্রশ্নযুদ্ধ, বাকযুদ্ধ, বা ট্যুইট যুদ্ধ । আসতে থাকে একের পর একের আরোপ । চলতে থাকে স্বীকার – অস্বীকার এর খেলা ।
তবে ” কাটমানি “কথাটার সাথে পরিচিতি সকলে । বিরোধীদের একাংশের মতামত যে এই কাটমানি সাথে আষ্টে পিষ্টে জড়িয়ে থাকে সর্বদা শাসক দলের নাম । শুধু যে কাটমানি তা নয় । চাল চোর, ত্রিপল চোর এহেন অনেক কথা জড়িয়ে থাকে । তবে এর সত্যতা ঠিক কত খানি সে বিষয়ে ভিন্ন জনের ভিন্ন মত ।
হাওড়ার সাঁকরাইলে সারেঙ্গার হীরাপুর এলাকায় একটি শশ্মান ঘাট নবনির্মিত হয় । কিন্তু উদ্বোধনের আগেই গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে গেল নবনির্মিত ওই শ্মশান। রবিবার এই ঘটনাটি ঘটে। এতে কেউ হতাহত না হলেও আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা।
একদম নতুন ভাবে নির্মাণ করা শশ্মান ঘাট ভেঙে তলিয়ে গেলো? তাহলে কি সেখানে ঠিক মতো ভাবে তৈরি করা হয় নি সেই শশ্মান? এরম আরো অনেক প্রশ্ন আসছে । প্রশ্ন আসছে এটাও যে তাহলে কি নিম্নমানের কাঁচামাল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সেটি? । সেটি তৈরি করতে বরাদ্দ টাকা থেকে কম টাকায় কি করা হলো সেই শশ্মান ? প্রশ্ন গ্রামবাসীদের ।
গ্রামবাসীদের বক্তব্য , ১৯৬২ সালে তৈরি হওয়া এই শশ্মান ঘাট এর আগে কখনো ভেঙে পড়ে নি । বহু বান , জোয়ার সামলেছে এই শশ্মান।ঘাট । তাহলে কি কারণ নতুন নির্মিত শশ্মান ঘাট তলিয়ে যায় ” । গ্রামবাসীদের ধারণা ও অভিযোগ যে “গত বছর দেড়েক আগে সেখানে নতুন শ্মশান তৈরি শুরু করে স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ।
অভিযোগ, শ্মশান তৈরিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে । ঠিকাদারের কাছ থেকে তৃণমূল নেতারা কাটমানি নেওয়াতেই নির্মাণসামগ্রীর মানের সঙ্গে আপোস হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। তার জেরেই ভেঙে পড়েছে শ্মশান।
এ বিষয়ে এ স্থানীয় তৃণমূল জেলা পরিষদের সদস্যপ্রিয় পাল গ্রামবাসীর অভিযোগ সম্পূর্ন ভাবে অস্বীকার করেছেন । তিনি বলেছেন ” কোনো নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়নি সেটি ।তদন্ত হোক । যেকোনো তদন্তের মুখোমুখি হতে রাজি আমরা ” । তাহলে কি কোথাও সত্যি কাটমানি কথা আর তার সাথে জড়িত শাসকদল এর কথা সত্যি ? প্রশ্ন গ্রামবাসীর ।