নিজস্ব প্রতিবেদন:-করোনার আবহের জেরে রীতিমতো দেশজুড়ে চলছে আর্থিক অনটন। বিভিন্ন রাজ্যের কোষাগারে ইতিমধ্যে পড়েছে টান । টান পড়েছে সাধারণ মানুষের পকেটেও। তার সাথে সাথে চিন্তার ভাঁজ আরো বড় হয়েছে মানুষের। কোথায় মিলবে খাবার। কারণ খাবারের জন্য যে টাকা আর টাকার জন্য লাগে চাকরি।





কিন্তু এই মুহূর্তে দেশের বেকারত্ব সংখ্যা সবথেকে বেশি । কাজেই এত সব প্রশ্ন মাথার মধ্যে ঘুরপাক করাতে রীতিমতো নাজেহাল সাধারণ মানুষেরা। তবে ইতিমধ্যেই লকডাউনের সময় ফ্রিতে রেশন এর ঘোষণা করেছিলেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এবার সেই রেশন ব্যবস্থা নিয়ে নিলেন আরো বড়সড় এক পরিবর্তন । রীতিমতো খুশি মধ্যবিত্তরা ।
বছরের প্রথম দিক থেকে শুরু হয়েছে করোনা এবং তারপরে মে মাসে আছড়ে পরে পরে রাজ্যের বুকে আম্ফান এর মতন ঘূর্ণিঝড় । যার ফলে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ ঘরছাড়া হয়। ক্ষতি হয় কয়েক কোটি টাকার ফসল । সাধারণ মানুষের মাথায় হাত । কিভাবে মিলবে খাবার । সেই মত অবস্থায় এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যের মানুষের খাবারের যাতে কোন অসুবিধা না হয় তাই ফ্রিতে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।





রাজ্যের পাশাপাশি ও কেন্দ্র ও ফ্রিতে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন । কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যাদের কার্ড নেই তারা কোথা থেকে পাবে সেই রেশন । সে বিষয়ে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে যাদের কাজ নেই তাদের জন্য একটি বিশেষ কুপনের ব্যবস্থা করা হবে যাকে বলা হয় খাদ্যশ্রী ফুড কুপন ” । এই কুপনের মাধ্যমে যাদের কার্ড নেই তারাও পাবে রেশন এবং বিনামূল্যে।
ঐদিন খড়গপুর প্রশাসনিক বৈঠকের তিনি এই রেশন ব্যবস্থার উপর নিয়ে এলেন আরো বড়সড় পরিবর্তন । আগামী ছয় মাস অর্থাৎ জুন মাস পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মিলতে চলেছে রেশন । মুখ্যমন্ত্রী জানান রাজ্যের প্রায় ১০ কোটি মানুষের খাদ্য সরবরাহ করা হয় ।





কিন্তু আগামী ছয় মাস অব্দি মানুষের সুবিধার্থে বিনামূল্যে খাদ্য সরবরাহ কথা চিন্তা করেছে রাজ্য সরকার । তার সাথে সাথে যাদের কার্ড নেই তাদের ঘাবড়াবার কোন দরকার নেই । কুপনের মাধ্যমে তাদের বিনামূল্যে মিলবে রেশন । কার্যত এই ধরনের সিদ্ধান্ত সামনে আসতে রীতিমতো খুশি মধ্যবিত্ত থেকে গরিবেরা ।




