নিজস্ব প্রতিবেদন :-দেশজুড়ে চলছে উ-ত্তা-ল সব কান্ড। কখনো প্র-তি-বাদের মিছিল দেখা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশে গণধ-র্ষ-ণ কাণ্ড কেন্দ্র করে । আবার কখনো প্রতিবাদের মিছিল হয়েছে সদ্য কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক লাগু করা কৃষি বিল কে কেন্দ্র করে। কিছুদিন আগে রাজ্যসভায় পাস করেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকার এই বিল । এর পাশাপাশি আরো ১৫ টি বিল পাস করিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিবাদে ফাটছে গোটা দেশ।





ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি পথে নেমেছে। এই বিলের মাধ্যমে কৃষকের জীবন অনিশ্চয়তায় ফেলে দেওয়ার দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। বারবার উঠে এসেছে প্রশ্ন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি থেকে । তবে এ বিষয়ে পাল্টা জবাব তেমনভাবে মেলেনি গেরুয়া শিবির থেকে।
ভারত স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সরকার কর্তৃক কৃষির লাগু করা হয়েছিল কৃষকদের স্বার্থে। এবং সেই বিল অনুসারে বলা হয়েছিল একটি ন্যূনতম ফসলের মূল্য বেঁধে দেবে সরকার। সেই মূল্য এ ফসল কিনতে হবে । কিন্তু সম্প্রতি কৃষি বিল অনুসারে বলা হচ্ছে যে কৃষকের ন্যূনতম মূল্যের উপর সরকারের কোনো নিয়-ন্ত্রণ থাকবে না । এর ফলে কৃষি ব্যবস্থা একপ্রকার বিকিয়ে দেওয়া হচ্ছে এমনটাই মত অনেকের।





তবে এ বিষয়ে কংগ্রেস প্রথম থেকেই বেশ জোরালোভাবে প্রতিবাদ করে আসছে । এবার ও তার অন্যথা হল না । কিছুদিন আগে পাঞ্জাবের একটি বিরাট পথসভার আয়োজন করে কংগ্রেস । এবং একটি প্রকল্প তারা গ্রহণ করে যার নাম “খেতি বাঁচাও ” ।
সেই সভা থেকে থেকে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছিলেন যে কৃষি বিল এর প্রভাব সবথেকে বেশি পড়ে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় । দেশজুড়ে কৃষকরা মাঠে নেমেছে এর প্রতিবাদ করতে। কংগ্রেস তাদের সাথে আছে। কিন্তু আরো একবার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি বলাবাহুল্য একটি বিলের বিরোধিতা করে সরব হলেন রাহুল গান্ধী কি বললেন তিনি জানাবো আপনাদের ।





ওইদিনই বৈঠক থেকে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী জানান যে কৃষি বিল সরকার কর্তৃক একটি পরিকল্পনা মাফিক প্ল্যান একটি পরিকল্পনা মাফিক প্ল্যান। যার দ্বারা কৃষকের জীবন অনিশ্চয়তা ফেলে দেওয়া হচ্ছে। বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে কৃষি ব্যবস্থাকে। এরফলে দেশ আরো অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । ভেঙ্গে পড়ছে গণতন্ত্র ।
তাঁর দাবি, “কৃষক স্বার্থ আর শ্রমিক স্বার্থ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে।” তিনি জানান, “এর আগে একইভাবে নোটবন্দি আর জিএসটি করে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করা হয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে। সেরকমই নতুন কৃষি আইনে খাদ্য নিরাপত্তায় আর রেশন ব্যবস্থায় প্রভাব পড়বে।” তাঁর অভিযোগ, “লকডাউন পরবর্তী সময়ে এই কৃষি বিল কৃষক স্বার্থ নষ্ট করবে।” রাহুল গান্ধীর এই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছে ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি। কারণ সবার লক্ষ্য একটাই যেনতেন প্রকারে কৃষি বিল লাগু হতে দেওয়া চলবে না ।




