বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই করো না অতি মহামারীর সংকটে সারা বিশ্ব। এই মহামারীর ফলে বহু মানুষ বহু ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ।ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে যেখানে মানুষের নুন আনতে পান্তা ফুরায় সেই সেই দেশে কয়েকশো কোটি মানুষ কর্মহারা।নেই কোনো নতুন কর্মসংস্থান শুধুমাত্র রয়েছে রাজনীতির খেলা। করণা সংকটে জেরে সবকিছুর দাম হুহু করে বেড়ে চলেছে। বর্তমানে আমরা কিছুটা হলেও সংক্রমণ রোধ করতে পেরেছি সুস্থতার হার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী।
তাই হয়তো বিশেষজ্ঞদের পরামর্শক্রমে আনলক 1 ,আনলক 2 ,আনলক 3 ক্রমশ চলছে। বর্তমানে মানুষ গণপরিবহন কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করে সাইকেল কিংবা স্কুটি স্কুটার বাইক কিছু উচ্চবিত্ত মানুষ বরাবর যারা চার চাকার ব্যবহার করেন তারা ক্রমশ নিজেদেরকে আরো শৌখিন তর করে তুলেছেন গাড়ি ব্যবহারের মাধ্যমে।
দেশের বেশিরভাগ মূল্যবান অতি প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বিশ্বের বাজারের সঙ্গে ওঠা নামা করে। কখনো কখনো তা ঊর্ধ্বমুখী কখনো তা নিম্নমুখী।অতি মহামারীর সংকট কিছুটা কেটে যাওয়ার পরে প্রচুর পরিমানের বিক্রি বেড়েছে এই যানবাহনটির।
রডের দাম যদি 20 শতাংশ কমে তাহলে আশা করা যায় পেট্রোল ও ডিজেলের দাম যথাক্রমে 5 শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারে মূলত অপরিশোধিত তেলের দাম কমে গিয়েছে অর্থাৎ থেকে লক্ষ্য করা যায় টাকার মূল্য ক্রমশ বেড়েছে বাজারে।বিশেষজ্ঞদের মতে এই বিশ্ববাজারে টাকার দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে জিনিসপত্রের দাম যথাক্রমে পেট্রোল ও ডিজেলের এই দুটো মহামূল্যবান পণ্যের দাম কমতে পারে।
আশা করা যায় বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম যদি ক্রমশ কমে তাহলে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে সেই সমস্ত ওয়ান মার্কেটিং সংস্থাগুলি কারণ কারণ ভারত সরকার দেশে অপরিশোধিত তেলের প্রায় বেশির ভাগটাই অর্থাৎ 82% বিদেশ থেকে ইমপোর্ট করে থাকে।গত কয়েক মাস ধরে যদি আমরা খবরের পাতায় চোখ রাখি তাহলে পেট্রোল-ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে কিংবা তার দাম ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী।
এই উত্তর উত্তর দাম বৃদ্ধির ফলে তেল উৎপাদন সংস্থা ইমপোর্ট কারী সংস্থা গুলোর উপর কিছুটা হলেও চাপ রয়েছে দাম কমানোর।ব্রেন্ট ক্রুদে তরফে সংস্থাগুলির পেলে উপভোক্তাদের সম্পূর্ণরূপেই ছাড় দেওয়া সম্ভব বলে মনে করা হয়।মূলত দাম বিশ্বমানের বাজারে সাথে এবং প্রতি অতি মূল্যবান একটি বস্তু যার উপর নির্ভর করে তেলের দাম মনে করা হয় যদি কুড়ি শতাংশ দাম কমে তাহলে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম যথাক্রমে 5 শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।সেই হিসেব অনুযায়ী পেট্রোল ও ডিজেল 2.5 থেকে 3 টাকা পর্যন্ত সস্তা হতে পারে প্রতি লিটারে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে অর্থাৎ রাইডার্স এর খবর অনুযায়ী গত সপ্তাহে অপরিশোধিত তেলের প্রায় 6 শতাংশ মূল্য কমে গিয়েছে এর কারণ হিসেবে ধরা হয় অপরিশোধিত তেলের চাহিদা কমে যাওয়া।করণা সংকট এর জেরে বিশ্বের বড় বড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল সংস্থাগুলি নিজেদেরকে গুটিয়ে রেখেছিল এর ফলে চাহিদার পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে কিন্তু যোগান কিছুটা হলেও কমেছে অন্যদিকে এর সাথে সাথে ভ্যাকসিনের আবিষ্কার এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
মনে করা হচ্ছে গ্রেন্ড কোটের দাম অক্টোবর পর্যন্ত কমে 32 ডলার প্রতি ব্যারেল হয়ে যেতে পারে।পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের সূত্র মারফত পিপিসি তথ্যানুযায়ী আগস্ট পেট্রোলিয়ামজাত প্রোডাক্টের বিক্রি সেভেন পয়েন্ট 5 শতাংশ কমে 1.43টন হয়ে গিয়েছে। গত বছরের আগস্টে তুলনায় বিক্রি কমেছে প্রায় 16 শতাংশ।
এপ্রিল ও মে মাসে পেট্রোল-ডিজেলের চাহিদা রেকর্ড 48.6 শতাংশ কমে 94 লক্ষ টন ছিল।সেই সময় গোটা বিশ্বে করনা সংকট এর হাত থেকে বাঁচার জন্য লকডাউন এর ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার যার ফলে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত কিংবা কিছুটা হলেও তার মুখ ঊর্ধ্বমুখী।
তার পরবর্তীকালেও আনলক মান এবং বিভিন্ন ফ্রিজের মধ্যে দিয়েও দেশকে সক্রিয় করার চেষ্টা করা আরম্ভ করে হলেও পেট্রোল ও ডিজেলের চাহিদা লাগাতার কমছে।আগস্ট মাসে ডিজেলের বিক্রি 12 শতাংশ পড়ে 48.4 লক্ষ টন হয়ে গিয়েছি যা জুলাই মাসে সূত্র মারফত জানা যায় যার চাহিদা ছিল 55.1 লক্ষ টন।