করোনা সংকট অতি মহামারীর প্রকোপ সারা বিশ্বজুড়ে তথা ভারত ভারতবর্ষেও এর প্রভাব পড়েছে। ফলে সাধারণ থেকে মধ্যবিত্ত প্রত্যেকই দৈনন্দিন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। শেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কিছুটা মধ্যবিত্ত বেশিরভাগ নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষ যাদের প্রত্যেকদিন রুটি রুজি চলতো দৈনন্দিন কাজের মাধ্যমে।
করোনা ভাইরাস এমন একটি ভাইরাস যা মানবদেহে প্রবেশ করলে মানবদেহের বিভিন্ন অর্গান কে ক্রমশ ধীরে ধীরে শিথিল করে তোলে তাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সারা দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল যাতে কিছুটা হলেও সংক্রমণ আটকানো যায় কিন্তু কিছুটা লকডাউন সফল কিছুটা অংশ ফলের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ পাঁচ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে।এ
ই দীর্ঘ লকডাউন এরমধ্যে মানুষ নিজে বুঝেছে যে কাজ কিংবা টাকা পয়সা কিংবা খাদ্যদ্রব্য কতটা জরুরী হয়তো এর জন্য এগিয়ে এসেছে অনেক সংস্থা কিন্তু সব সংস্থা দেশের কোনায় কোনায় কোন মানুষকেই সম্পূর্ণ ভাবে সাহায্য করতে পারে না এর জন্য চাই রেশন ব্যবস্থা।এই রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে সারা দেশজুড়ে গরীব মধ্যবিত্ত বা বৃদ্ধ সকলের কাছেই কিছু খাদ্যদ্রব্য অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে করণা পরিস্থিতিতে প্রায় 180 কোটিরও বেশি মানুষ আছে যাদের রেশন কার্ড রয়েছে রেশন কার্ড হোল্ডারদের বিনামূল্যে ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মার্চ মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সুবিধা মিলবে।সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা কিংবা বিনামূল্যে কিংবা স্বল্পমূল্যে খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করার জন্য রেশন কার্ড থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এছাড়াও বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে কিংবা অন্যান্য ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
ভারতবর্ষের বহু মানুষের রেশন কার্ড থাকলেও বেশিরভাগ মানুষেরই রেশন কার্ড নেই কিংবা তারা গুরুত্ব দেন না কিন্তু কিছু চটজলদি ধাপ এর মাধ্যমে আমরা অতি সহজে রেশন কার্ড বানিয়ে নিতে পারি। ভারতে তিন প্রকারের রেশন কার্ড হয় ।দারিদ্র্যসীমার উপরে থাকা মানুষদের জন্য এ পি এল (APL) , দারিদ্র সীমার নিচে থাকা মানুষের জন্য বিপিএল (BPL), আর সবচাইতে গরিব মানুষের জন্য অন্ত্যদয়া(ANTYODAYA)
বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রেশন কার্ড জারি করা হয়ে থাকে সেই সব রাজ্যের নাগরিকদের জাতীয় পরিচয় পত্র হিসেবেও কাজ করে থাকে।রেশন কার্ড তৈরি করার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয় BPL এবং ANTYODAYA যোজনা রেশন কার্ড করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি জমা রাখতে হয়। সরকারের ফুড সিকিউরিটি এক নতুন রেশন কার্ড তৈরি করার জন্য কিছু শর্ত আরোপ করেছে। এগুলি নিচে দেখে নেওয়া যাক।
1. দেশের যেকোনো নাগরিক রেশন কার্ড তৈরি করতে পারবেন অতি সহজেই।
2.কোন ব্যক্তি কিংবা কোন মানুষের রেশন কার্ড তখনই বানানো যাবে যদি তার রেশন কার্ড না থাকে একই কোন ব্যক্তির দুটি রেশন কার্ড থাকা আইনত দণ্ডনীয় বলে মনে করা হয়।
3. জন্মবার সাথে সাথেই রেশন কার্ড তৈরি করা যায় এছাড়া কোনো শিশু কিংবা কোন মানুষের যদি 18 বছর বয়স হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে তার রেশন কার্ড তৈরি করা সম্ভব
4. 18 বছর কম যাদের বয়স তাদের নাম বাবা-মায়ের রেশন কার্ডের সামিল থাকে।
সমস্ত রাজ্যের রাজ্য সরকার তার খাদ্য বিভাগের দ্বারা নতুন রেশন কার্ড তৈরি করার দায়িত্ব নিয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজ্য সরকার রেশন কার্ড তৈরি করে থাকে ।যার ফলস্বরূপ বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন ধরনের সরকার হওয়ার দরুন তাদের রেশন কার্ড বানানোর নিয়ম কিংবা পদ্ধতি বিভিন্ন হয়।প্রত্যেকটি রাজ্যের রেশন কার্ড তৈরির আবেদনপত্র জমা দেওয়ার ধরনের পদ্ধতি হয় একটি অফলাইন এবং অপরটি অনলাইন এই দুই ভাবেই আবেদন করা যেতে পারে।
কারণ হিসেবে বিহার সরকারের ওয়েবসাইট থেকে একটি ফরম ডাউনলোড করতে হবে এছাড়াও সংশ্লিষ্ট রাজ্যের কিংবা অঞ্চলের পঞ্চায়েত থেকেও তা গ্রহণ করা যায় এরপর নিজের পরিবারের নাম সদস্যদের নাম ছবি মোবাইল নম্বর ব্যাংক একাউন্টের ডিটেলস গিয়ে ফর্মটা পূরণ করতে হবে।এপ্রিল মাস থেকে বিহারে নতুন পদ্ধতিতে রেশন কার্ড তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে বিনামূল্যে রেশন কার্ড তৈরি করা হয় পাশাপাশি এটি অতি উল্লেখযোগ্য ঘটনা আবেদনপত্র জমা দাও আর মাত্র 7 দিনের মধ্যেই আবেদনকারীকে তার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
যার ফলস্বরূপ প্রত্যেকটি মানুষের হাতে হাতে আর এখনকার পৌঁছে যাওয়ার মাধ্যমে সেই মানুষটি তার প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য সরকার নির্ধারিত রেশন দোকান থেকেই সংগ্রহ করতে পারবে এর ফলে হয়তো মনে করা হচ্ছে যে সব মানুষেরা খেতে পারছেন না একবেলা খেয়ে খাচ্ছেন বাকিটা অভুক্ত থাকছেন তাদের পেট কিছুটা হলেও পড়বে বলে মনে করা হয়।