




নিজস্ব প্রতিবেদন -এই দীর্ঘ লকডাউন এর ফলে রীতিমতো অনেক জিনিসের দাম হুহু করে বাড়তে দেখেছি আমরা। আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস গুলোর দাম চোখের সামনে দিনের পর দিন বেড়ে গেছে। সে ব্যাপারে দুশ্চিন্তা ছিল আমাদের । আরো একবার বড়োসড়ো দুশ্চিন্তা সম্মুখীন হল এ রাজ্যে রাজ্যবাসীর। সে খবর সামনে আশাতে রীতিমতো বেশ চিন্তিত ব্যবসায়ী মহল থেকে শুরু করে ক্রেতা ও বিক্রেতা । কি এমন খবর যারা তারা দিকে নিল ঘুম ?





শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার জন্য ডাক্তারবাবুরা সবসময় হাই প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন । সেই সূত্রে মাছ মাংস ডিম সেই তালিকার মধ্যে পড়ে। কিন্তু এই ডিমের দাম যে হারে বেড়ে চলেছে তা রীতিমতো মধ্যবিত্তদের পক্ষে নাগালের বাইরে। যে ডিম মার্চ মাসের শুরুতে ৩.৯০ টাকা বা ৪ টাকা দিয়ে বিক্রি করা হতো সেই ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬.৫০- ৭ টাকাতে।
কিন্তু কেন বাড়ছে ডিমের দাম ? সেই প্রসঙ্গে শিয়ালদা এগ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে আগে আগে যদি ১২ টা করে লরি আসতো এখন সেটা আসে আটটা থেকে নটা । মূলত অন্ধ্রপ্রদেশ তেলেঙ্গানা থেকে এ রাজ্যে ডিম সরবরাহ এ থাকে । এ প্রসঙ্গে তারা আরো জানান যে সেখানে সরকার কিছু পরিমান ট্যাক্স ডিমের উপর চাপিয়ে দেওয়ার কারণে তার দাম বৃদ্ধি করেছে সেখানকার ডিম উৎপাদনকারী ব্যবসায়ীরা যার প্রভাব আমাদের রাজ্যে পরছে কিছুটা ।





সাধারণ মানুষেরা নাজেহাল এই ব্যাপার নিয়ে। ক্রেতারা জানিয়েছেন যে সস্তায় পুষ্টিকর খাবার বলতে বাজারে একমাত্র ডিম ছিল যা শরীরের ইমিউনিটি প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কিছুটা হলেও বৃদ্ধি করত । কিন্তু এই মুহূর্তে ডিমের আকাশছোঁয়া দাম তাদের বিকল্প কোন পথ ভাবাচ্ছে ।




