গত পয়লা জুন ভারতের বুকে প্রবেশ করেছে বর্ষা। তারপর থেকেই বিশেষ করে ভারতের উত্তর বঙ্গে নিরন্তর বৃষ্টি হয়ে চলেছে। যার ফলে উত্তরবঙ্গের নদীগুলিতে জলের পরিমাণ বিপ-জ্জনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আসাম সহ বেশকিছু রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। মুম্বাইয়ে অতিবৃষ্টির দারুন অনেক জায়গা জলের তলায় চলে গিয়েছে। এছাড়াও বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের অবস্থা খুবই খারাপের দিকে। অতিবৃষ্টির দরুন
বেশকিছু পাহাড়ি এলাকায় ধ্ব-স নামার ঘটনা ঘটেছে। সেইসব এলাকায় প্রশাসন তৎপরতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। মালদার কালিয়াচকের নদী তীরবর্তী অঞ্চলে ভাঙ্গনের ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে বেশ ভীত হয়ে পড়েছেন উপকূলবর্তী বাসিন্দারা। দক্ষিণবঙ্গের মাটিতেও বেশ কয়েকবার ভারী বৃষ্টির দেখা মিলেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই ভাবে দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ঘটেনি।
আজ রবিবার সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের আকাশে মেঘের ঘনঘটা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আগেই সূচনা দিয়েছিলো যে, রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে যে, রবিবার সকালে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের দেখা মিলতে পারে। আগামী দুই থেকে তিন ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে সাত জেলায় প্রবল বৃষ্টি হতে চলেছে এবং সেইসাথে বজ্রপাতের সর্তকতা জারি হয়েছে।
জানা গিয়েছে নদিয়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু অঞ্চলে সকাল থেকেই বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের গাঙ্গে উপকূল অঞ্চলে বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে। যেমন হাওড়া, হুগলি কলকাতা ও পূর্ব মেদিনীপুরে আগামী দুই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে ব্যাপক বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।