




নিজস্ব প্রতিবেদন:-আমরা মণ্ডপে বিভিন্ন ধরনের দুর্গা প্রতিমা দেখে থাকি । বলা বাহুল্য প্রতিটা মন্ডপই নিত্য নতুন কিছু করে বাকি সবার থেকে একটু হলেও বেশি নজর কাড়তে চাই । তাই বিভিন্ন জিনিস দিয়ে তৈরি করার চেষ্টা চলে দুর্গা প্রতিমার । কিন্তু শুধুমাত্র পিজবোর্ড এবং কাগজ দিয়ে যে সুন্দর একটি দুর্গা প্রতিমা তৈরি করা যায় সেটি প্রথম প্রমাণ করে ৯ বছরের একটি ছেলে ।





একথা সত্য যে দীর্ঘ দিন লকডাউন থাকার কারণে আমরা গৃহবন্দি এবং আমাদের জীবন একঘেয়েমি হয়ে উঠেছে। তাই সামান্য আনন্দ খুঁজতে আমরা জিবনকে আবদ্ধ করে নিয়েছি এই মুঠোফোনে । কিন্তু এমন অনেকেই আছে যারা এই লকডাউন কে পুরোপুরি ভাবে কাজে লাগিয়েছে । এর অর্থ তার মধ্যে থাকা বিভিন্ন শিল্প সত্তাকে আরো বেশি করে লালন পোষণ করেছে। ঠিক সেরকমই বাগবাজারের বাসিন্দা নয় বছরের আয়ুস এই দীর্ঘ লকডাউনে নিজেকে মুঠোফোন নয় বরং নিজের মধ্যে থাকা প্রতিভাকে আস্কারা দিয়ে বড় করেছে।





বাগবাজারে বাসিন্দা ওই বাচ্চাটি বাবা একজন শিল্পী অর্থাৎ প্রতিমাশিল্পী । শিল্পের নির্দেশনায় কাজের সঙ্গে তিনি যুক্ত। কাজেই শিল্প পরিবেশের সঙ্গে বা শিল্প সত্তার সাথে তার পরিচয় সেই ছোট থেকেই । সেই মতো ভাবে বেড়ে উঠছে সে নিজে। সধু মাত্র আঠা, কাগজ আর পিজবোর্ড নিয়ে তৈরি করে ফেলবেন একটি আস্ত দুর্গা এমনটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে অযূষ। সে তার বাবার কাছে আবদার করে যে কিছু কাগজ এবং আরো যে সব সরঞ্জাম সেগুলো এনে দেওয়ার জন্য।





প্রতিবেশীর ফ্রিজের যে বাক্স থাকে সেখান পিচবোর্ড নিয়ে এবং বাবার এনে দেওয়া সরঞ্জাম নিয়ে মনোযোগ সহকারে তৈরি করতে বসে যান দুর্গা প্রতিমা।। এবং কয়েক দিনের মধ্যেই তৈরি করে ফেলেন সেটি ।তিনি রীতিমতো কাগজের টুকরো এবং পিচবোর্ড দিয়ে তৈরি করলেন একটি দুর্গা প্রতিমা যা দেখে অবাক তার বাবার নিজেও ।
এটির একটি ভিডিও ছোট্ট করে তার বাবা ফেসবুকে শেয়ার করে এবং সেই ভিডিওতে দেখা যায় যে। আয়ুশ বলছে তার এই দুর্গা প্রতিমা কেউ কিনলে তার ভালো লাগবে । সেই মতো ফেসবুকেই সেই দূর্গার কথা জানতে পারেন রাজপুর কালীতলার বাসিন্দা তমাল পাহাড়ি। তিনি খুদের বাবার সাথে যোগাযোগ করে নিজের স্যালনে দূর্গাটি রাখতে চান। আয়ূষকে উপযুক্ত স্বীকৃতিও দেন তিনি। ধুতি, পাঞ্জাবি, শঙ্কু সমগ্র উপহার দেন। বর্তমানে সেই মূর্তি তমাল পাহাড়ির স্যালনেই রয়েছে।




