







নিজস্ব প্রতিবেদন: সোশ্যাল মিডিয়ার দরুন অনেক ঘটনার আমাদের সম্মুখীন থাকতে হয় যেগুলো আমাদেরকে অবাক করে রেখে দেয়। একটা সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের কাছে টেলিভিশন এবং সংবাদপত্র ছাড়া বাইরের দুনিয়ার সাথে যোগাযোগ রাখার আর কোন মাধ্যম ছিল না। তবে এখন সেই জায়গা সম্পূর্ণরূপে দখল করে নিয়েছে ইন্টারনেট জগত। ছোটখাটো যেরকম খবর থেকে শুরু করে বড় কোন ঘটনা সমস্তই জানার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া আর দ্বিতীয় কোন বিকল্প নেই।। জীবজন্তু থেকে শুরু করে নানান ধরনের জিনিস কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় উঠে আসে। এর মধ্যে অন্যতম হলো বিভিন্ন সাপ সংক্রান্ত ভিডিও। অনেকেই আছেন যারা এই ধরনের ফটো বা ভিডিও দেখতে ভালোবাসেন। ঠিক সেই সমস্ত পাঠক বন্ধুদের জন্যই রইল আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদন।
আজ আমরা সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিও নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চলেছি। ভিডিওটি উত্তরপ্রদেশের একটি জনপ্রিয় গ্রামের। ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি খেতের মধ্যে থাকা পরিত্যক্ত কুয়োর মধ্যে প্রায় ১২ থেকে ১৩ টি কোবরা সাপ পড়ে গিয়েছে। এর মধ্যে যেমন বাচ্চা রয়েছে ঠিক তেমনভাবেই রয়েছে বেশ কিছু বিষধর বড় সাপ। সাপগুলোকে দেখতে পেয়ে আতঙ্কে গ্রামবাসীদের মন ভয়ে জমে গিয়েছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে, তারা সর্পরক্ষক মুরলীওয়ালে হৌসলাকে খবর দিতে বাধ্য হন। যারা কমবেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন এই যুবককে কিন্তু সকলেই চিনবেন। ভারতের নানা ধরনের জায়গা থেকে সাপ উদ্ধারের কাজ করে এই ব্যক্তি বর্তমানে কিন্তু বেশ জনপ্রিয় বলা যায়। নির্দিষ্ট জায়গায় পৌছে এই ব্যক্তি, কুয়োর মধ্যে নেমে যান সাপ উদ্ধার করার জন্য।




একটি মইয়ের সাহায্যে নিচে নেমে আসেন তিনি। তারপর একে একে অত্যন্ত দক্ষতা সহকারে সাপগুলোকে একটা ঝুলির মধ্যে পুরে তারপর উঠে আসেন উপরে। তার কাজ দেখেই বোঝা যায় দীর্ঘ সময় ধরে এই ধরনের কাজে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ সহই এই কাজটি করেছেন তিনি তাতে কোন সন্দেহ নেই। সাপগুলোকে ধরে নেওয়ার পর জানা যায় সেগুলোকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তিনি যে সাপগুলোকে ধরেছিলেন এটি হলো বিষধর কিং কোবরা, যার বিষ সম্পূর্ণ নিউরোটক্সিক।
কোনভাবে যদি এই সাপ মানুষকে দংশন করে তাহলে আট থেকে ৯ ঘণ্টার মধ্যে উপযুক্ত চিকিৎসা না হলে কিন্তু ব্যক্তির মৃত্যু হবে। আপনারা যারা প্রশিক্ষণ ছাড়াই সাপ ধরার কাজ করছেন এবার থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন। ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের প্রতিবেদনটি একবার মনোযোগ সহকারে পড়ে শেয়ার করে নিতে ভুলবেন না। ওই যুবকের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল থেকেই ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত এই ভিডিওটি দেখেছেন ৫.৮ মিলিয়ন মানুষ এবং লাইক করেছেন ২০২ হাজার মানুষ।।











