আগামী ২০২১ বিধানসভা ভোট। বাংলায় এই ভোটকে পাখির চোখ করে তৎপর হয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো। রাজ্য সরকার ক্রমশই ঘুঁ-টি সাজাচ্ছে। তৎপর বি-রো-ধী দলগুলোও। বিশেষ করে রাজ্য বিজেপি সরকার আগামী ২০২১ বিধানসভা ভোটে তৃণমূল সরকার কে ধরাশায়ী করার পদক্ষেপ নিয়ে কর্মসূচি পালন করে চলেছে। কিন্তু রাজ্যে ক্রমশই কমছে বিজেপির জনপ্রিয়তা। প্রায়শই দেখা যাচ্ছে বিজেপিতে ভা-ঙ্গ-ন ধরেছে।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বহু মানুষ। যার ফলে উদ্বিগ্ন রাজ্য বিজেপি সরকার তথা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারও। রাজ্য বিজেপি তে এই ভা-ঙ্গ-ন দুশ্চিন্তায় ফেলেছে কেন্দ্রীয় শাসক দলকে। আগামী ২০২১ এ রাজ্যে ক্ষমতা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যেই এগোচ্ছিল বিজেপি। এবার তৃণমূল নেত্রী কর্মসূচি নিয়েছেন ‘ইয়ুথ ইন পলিটিক্স’ এর। এর মাধ্যমে তৃণমূলের উত্তরসূরিদের খোঁজা হচ্ছে।
তৃণমূলকে জয়ের স্বাদ এনে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রশান্ত কিশোর তার ঘোষিত ইয়ুথ ইন পলিটিক্স কর্মসূচিকে দারুণভাবে সফল করেছেন। জানা গিয়েছে প্রায় চার লাখের বেশি যুবক আজ তৃনমূলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করতে চলেছেন। গত এক মাস ধরেই তৃণমূলে যোগদান করছেন বহু মানুষ। তৃণমূল নেত্রী তার প্রচারাভিযানের মাধ্যমে এবং নানান কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের মনই যথেষ্ট অনুকূল প্রভাব বিস্তার করছেন, যার ফলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরও মজবুত হচ্ছে তৃণমূল দল।
কিন্তু এর উল্টোটাও অনেক জায়গায় পরিলক্ষিত হচ্ছে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে আসছেন বেশকিছু তৃণমূল কর্মী নেতারা। যেমন আগেই বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন তৃণমূলের সবথেকে প্রভাবশালী নেতা মুকুল রায়। সেই সাথে মুকুল রায়ের প্রচুর অনুগামী বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা বিজেপির ছত্রছায়ায় চলে আসছেন। ঠিক এ রকমই ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার মাল বিধানসভায়।
সেখানে মোট ১২০ জন তৃণমূল কর্মী তৃণমূলের সংস্রব ত্যা-গ করে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনায় যথেষ্ট অস্ব-স্তিতে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। যেখানে আগামী 2021 বিধানসভা ভোটে ঘুঁটি সাজাচ্ছে শাসক দল, সেখানে রাতারাতি এতজন কর্মী-সমর্থকের বিজেপিতে যোগদান চিন্তা বাড়িয়েছে শাসকদলের।